ছবি: প্রতীকী
অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: এক স্কুল ছাত্রকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেপ্তার সিনিয়র হাই মাদ্রাসার এক শিক্ষক। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের কুপিলা সিনিয়র মাদ্রাসায়। শিক্ষকের এই কীর্তিতে প্রবল অস্বস্তিতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মাসুদ আলম (৩৮)। তার বাড়ি সাগরপাড়ার রওসননগরে। অভিযোগ, শনিবার কুপিলা এমআইওএস সিনিয়র মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেনির এক ছাত্রকে টিফিনের সময় বাথরুমে টেনে নিয়ে যায় ওই শিক্ষক। সেখানে তাকে যৌন হেনস্থা করে। কাউকে না জানানোর নির্দেশও দিয়েছিল গুণধর শিক্ষক। কিন্তু হুমকিকে ভয় না পেয়ে বাড়ি গিয়ে গোটা বিষয়টি জানায় নির্যাতিত ছাত্র। এরপরই সোমবার পড়ুয়া ও অভিভাবকরা অভিযুক্তকে চেপে ধরে। তাকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে। পরে নির্যাতিতর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নিগৃহীত ছাত্রের বাবা জানান, “বিদ্যালয়ে চরিত্র গঠন ও শিক্ষার্জনের জন্য ছেলেকে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু দেখছি মাদ্রাসার শিক্ষকেরই জ্ঞানের অভাব রয়েছে। তাই সন্তানসম ছেলের সঙ্গে যৌন নিগ্রহ করতে পেরেছে।” কুপিলা সিনিয়র মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাব্বির আহমেদ জানান, “শনিবার আমি অফিসিয়াল কাজে বাইরে ছিলাম। রবিবার মাদ্রাসায় এসে সব শোনার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে কিছু বলতে গেলে উলটে তিনি আমাদের হুমকি দেন। এরপর সোমবার ফের মাদ্রাসায় এলে স্থানীয় বাসিন্দা ও পড়ুয়ারা বিক্ষোভ করে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পুলিশে জানালে তারা এসে শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।”
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, “মাসুদ আলম একমাস আগে আমাদের বিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছেন। ছুটি বাদ দিয়ে ১৯ দিন মতো ক্লাস হয়েছে। ফলে ওনাকে সেভাবে বুঝেই উঠতে পারিনি। তবে উনি একা একা থাকতেন। তার চলনবলন আমাদের ভাল লাগত না। তা নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথাও হয়েছে। ভাবতাম, নতুন জায়গায় মানিয়ে নিতে সময় লাগছে। কিন্তু মনে মনে যে তিনি এমন ফন্দি করছেন বুঝতে পারিনি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.