বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: দিদির বাড়ি যাওয়ার নাম করে জামাইবাবুর সঙ্গে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিল কিশোরী। কিন্তু আদৌ সেখানে যায়নি। দীর্ঘদিন কোথাও হদিশও মেলেনি শ্যালিকা-জামাইবাবুর। প্রায় দু’মাস পর নদিয়ার শিমুরালি এলাকার এক চাষের জমি থেকে মিলল ওই নাবালিকার দেহ। ঘটনার পরই জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার বাবা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পলাতক অভিযুক্ত।
নদিয়ার গাংগাপুরের বাসিন্দা বছর সতেরোর শবনুর মণ্ডল। প্রায় বারো বছর আগে ধানতলার চাঁদিপুরের আজিবর মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় শবনুরের দিদির। বিয়ের পর থেকে স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল সব কিছু। আচমকাই স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে ছন্দপতন হয় আজিবরের। এরপর থেকেই শ্যালিকা শবনুরের উপর নজর পড়েছিল আজিবরের। নাবালিকাকে ফুঁসলেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে বাধ্যও করে সে। সম্পর্কের গভীরতা বাড়তেই দিদির কাছে যাওয়ার নাম করে ঘর ছাড়ে শবনুর। সেই থেকে টানা ৩৯ দিন বেপাত্তা দু’জন। একাধিক জায়গায় খুঁজেও তাঁদের হদিশ পায়নি কেউ। জানা গিয়েছে, শুক্রবার হঠাৎই স্ত্রী শাবানাকে ফোন করে আজিবর। জানায়, “আমি একটা অন্যায় করে ফেলেছি। তোমার বোনের মৃতদেহ পড়ে আছে মাঠের মধ্যে। তুমি ঠিকানাটা লিখে নাও।” ঠিকানা লিখতেই ফোন কেটে দেয় অভিযুক্ত। এরপর থেকে বন্ধ আজিবরের মোবাইল।
আজিবরের দেওয়া ঠিকানা থেকেই মেলে শবনুরের দেহ। শরীরে মিলেছে কাটা চিহ্ন। দেহ উদ্ধারের পরই জামাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার বাবা। কিন্তু কী কারণে খুন? সকলের চোখে ধুলো দিয়ে কী নাবালিকা শ্যালিকার সঙ্গে সংসার পেতেছিল আজিবর? সেখানেই বনিবনা না হওয়ার কারণেই কি খুন? নাকি অন্য কোনও কারণে শ্যালিকাকে নিয়ে বেড়িয়েছিল সে? কীভাবে দু’জনের সম্পর্ক চোখ এড়িয়ে গেল পরিবারের সকলের? এহেন একাধিক প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.