ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: ফের রাজ্যে দু’জনের শরীরে মিলল করোনা সংক্রমণের হদিশ। একজন জুনিয়র চিকিৎসক, নার্স এবং ক্যানসার আক্রান্ত মহিলার শরীরে বাসা বেঁধেছে এই ভাইরাস। আপাতত আক্রান্তরা ভরতি হাসপাতালে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকেকেই পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে।
বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা বারাকপুরের বিএন বসু হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসকের শরীরে মেলে করোনার হদিশ। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বেলঘড়িয়াতেই মিলল করোনা আক্রান্তের হদিশ। এবার আক্রান্ত হয়েছেন একজন জুনিয়র চিকিৎসক ও নার্স। জানা গিয়েছে, দুজনেই মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত। তাঁদের শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না। তবে দিনকয়েক আগে ওই হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায় বলেই তাঁদের শারীরিক নমুনার পরীক্ষা করা হয়। তাতেই COVID 19 পজিটিভ দেখা যায় দুজনকেই। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়। তাঁদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককেই পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। এলাকাও জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে।
পাশাপাশি নৈহাটিতেও একজন ক্যানসার আক্রান্ত মহিলার শরীরে করোনা সংক্রমণ। পরিবার সূত্রে খবর, দিনকয়েক আগে তাঁকে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য ভরতি করা হয়। সেখানে নানা শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয় তাঁর। তা দেখেই সন্দেহ হয় চিকিৎসকদের। তার নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। ওই রিপোর্ট আসার পরই জানা যায়, ক্যানসার আক্রান্ত ওই মহিলা করোনা আক্রান্ত। তড়িঘড়ি তাঁর স্বামী, সন্তান এবং পরিচারিকাকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এছাড়াও অসুস্থ থাকাকালীন ওই মহিলা যে টোটোয় চড়ে মাঝেমধ্যে চিকিৎসার স্বার্থে বেরিয়েছেন, সেই টোটোচালককেও কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকাটিও সিল করে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই আতঙ্কে কাঁটা প্রায় সকলেই। যদিও অযথা আতঙ্কিত না হওয়া পরামর্শ দিয়েছে নৈহাটি পুরসভা কর্তৃপক্ষ। নৈহাটি পুরসভার পুর পারিষদ (স্বাস্থ্য) শান্তনু দে বলেন, “এলাকা আপাতত সিল করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কাউকে বাড়ি থেকে বেরতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় সমস্ত সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.