সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অধ্যাপিকার আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বীরভূমের সিউড়িতে। জানা গিয়েছে, আত্মহত্যার আগের মুহূর্তে গলায় দড়ি লাগিয়ে সেলফিও তোলেন তিনি এবং সেই ছবি তিনি পাঠান তার প্রেমিককে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যাপিকার প্রেমিক সুমন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা গিয়েছে, বিএড পড়তে গিয়ে শুভ্রা মণ্ডল নামে ওই অধ্যাপিকার সঙ্গে পরিচয় হয় সুমন চট্টোপাধ্যায় নামে এক যুবকের। সেই সময় এমএসসি পড়া শেষ করে পিএইচডি-র জন্য চেষ্টা করছিলেন সুমন। আর শুভ্রা আংশিক সময়ের জন্য পড়াতেন কলেজে। একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলেও চাকরি করতেন ওই তরুণী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে দু’জনের। বাড়িতেও সুমনের কথা জানান তিনি। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও বিয়ের কথা বললেই বেঁকে বসতেন সুমন। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে অশান্তিও চলছিল। জানা গিয়েছে, বিয়ের কথা বলায় ওই যুবক শুভ্রাকে বলেছিল, “তুই মরে যা। তুই মরে গেলে আমি বেঁচে যাই।”
এরপর রবিবার রাতে খাওয়ার পর নিজের ঘরে চলে যান শুভ্রা। পরে দীর্ঘক্ষণ দরজা না খোলায় বাড়ির লোকেদের সন্দেহ হয়। কোনওক্রমে দরজা খুলে শুভ্রাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। পাশেই রাখা ছিল তাঁর মোবাইল। দেখা যায়, আত্মঘাতী হওয়ার আগেই সুমনকে শেষবারের মতো বিয়ে করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু সুমন তাতেও রাজি না হওয়ায় চরম সিদ্ধান্ত নেন শুভ্রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে সিউড়ি থানার পুলিশ। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুভ্রার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায়। মৃতার পরিবারের দাবি, সুমনের জন্যই তাঁদের মেয়ের এমন মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে। তাই অভিযুক্ত যেন যথাযথ শাস্তি পায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.