সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনেদুপুরে মধ্যমগ্রামের (Madhyamgram) রাজবাটিতে শুটআউট। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর চার রাউন্ড গুলি চালিয়ে এক প্রোমোটরকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। বিজেপির দাবি, নিহতের ছেলে গেরুয়া শিবিরের সক্রিয় কর্মী বলে প্রোমোটরকে খুন করেছে তৃণমূল। যদিও সেই দাবি খারিজ করেছে ঘাসফুল শিবির। তাদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। প্রোমোটিং বিবাদেই খুন হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
নিহতের ছেলের দাবি, মঙ্গলবার সকালে অশোক সর্দার নামে ওই ব্যক্তির কাছে একটি ফোন আসে। বাড়ির কাছেই একটি এলাকায় তাড়াতাড়ি ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। সেই ফোন পাওয়ামাত্রই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন অশোকবাবু। সেই সময় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কমপক্ষে চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়। বুকে, পায়ে, পেটে গুলি লাগে তাঁর। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই প্রোমোটর। স্থানীয়রাই গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁকে। পরিজন এবং পুলিশকেও (Police) খবর দেন। তবে চিকিৎসকরা জানান, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
নিহতের ছেলে এলাকার সক্রিয় বিজেপি (BJP) কর্মী হিসাবেই পরিচিত। দিনদুয়েক আগে তাঁদের বাড়িতে বিজেপি নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠকও হয়। রাজনৈতিক সংঘাতের জেরেই বাবাকে খুন হতে হল বলেই দাবি নিহতের ছেলের। যদিও সে অভিযোগ খারিজ করেছে তৃণমূল (TMC)। তাদের দাবি, রাজনৈতিক বিবাদ নয়। অশোক সর্দারের খুনের নেপথ্যে প্রোমোটিং বিবাদই জড়িত। এদিকে, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পরিজনদের পাশাপাশি প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। সুপারি কিলারকে দিয়েই ওই ব্যক্তিকে খুন করানো হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকে থমথমে গোটা এলাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.