সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাছে নেই স্মার্টফোন (Smartphone)। অথচ স্মার্টফোন ছাড়া কোনওভাবেই যোগ দেওয়া যাবে না অনলাইন ক্লাসে। এদিকে, আবার স্কুল খুললেই রয়েছে পরীক্ষার চাপ। আর পাঁচজনের তুলনায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কায় যেন ভিতর ভিতর গুমরে মরছিল মেয়েটা। প্রায় ছেড়ে দিয়েছিল খাওয়াদাওয়া। কথাবার্তাও কারও সঙ্গে বলত না। অবশেষে মানসিক অবসাদে আত্মহত্যার পথই বেছে নিল দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রী। কিশোরীর আত্মহত্যার ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই থমথমে বালির (Bally) নিশ্চিন্দা এলাকা।
বালির একটি বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করত শিবানি সাউ। দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী ছিল যথেষ্ট মেধাবি। লকডাউনের আগেও স্কুল আর পড়া ছাড়া কোনও দিকেই নজর ছিল না তার। তবে গত কয়েকমাস ধরে স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যেতে পারছে না। তাই পড়াশোনা এগোচ্ছিল না শিবানির। ইতিমধ্যেই অনলাইন ক্লাস শুরু হয়। কিন্তু বাড়িতে স্মার্টফোন রয়েছে শুধুমাত্র বাবার। কিন্তু লকডাউনের আগে বিহারে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন বাবা-মা। তাই সেই ফোন ব্যবহার করে ক্লাস করার কোনও সুযোগ পায়নি ছাত্রী। বাধ্য হয়ে ক্লাস করতে পারছিল না সে।
পরিজনদের দাবি, তার ফলে মানসিক অবসাদে ভুগছিল কিশোরী। সকলের সঙ্গে কথা বলা এবং খাওয়াদাওয়াও ছেড়ে দিয়েছিল সে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই কিশোরী বাড়িতে একাই ছিল। সেই সময় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ইতিমধ্যে কিশোরীর বাবা-মাও বিহার থেকে নিশ্চিন্দায় এসে পৌঁছেছেন। মেয়ের নির্মম পরিণতি দেখে মাথার ঠিক রাখতে পারছেন না তাঁরা। প্রতিবেশী এবং পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে তদন্তকারীদের অনুমান, আত্মহত্যা করেছে ওই কিশোরী। তবু ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছুই বলতে পারছে না পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.