দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: টিকটক ভিডিও করে দিন দিন বাড়ছিল ফলোয়ারের সংখ্যা। বাড়ছিল পরিচিতিও। সেই পরিচিতির মাধ্যমে ব়্যাম্প শোয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। অংশগ্রহণ করার উদ্দেশে দিল্লি রওনা হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা হুগলির চুঁচুড়ার গৃহবধূ। স্ত্রীর খোঁজে পুলিশের দ্বারস্থ মহিলার স্বামী।
কয়েক বছর আগেই চুঁচুড়ার ভগবতীডাঙার প্রসেনজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় প্রতিমার। তাঁদের গৃহবধূর একটি পাঁচ বছরের শিশুকন্যাও রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার স্রোতের হাওয়ায় গা ভাসিয়ে টিকটক ভিডিও তৈরি করাই নেশা হয়ে গিয়েছিল প্রতিমার। তাতে সায় দেন গৃহবধূর স্বামীও। চুঁচুড়ার ওই গৃহবধূ অর্থ উপার্জনের জন্য টিকটক ভিডিওকে নিজের জীবনে উপর দিকে ওঠার সিঁড়ি হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। আর এই ভিডিওর দৌলতে অর্থও নেহাত কম রোজগার হচ্ছিল না। টিকটক ভিডিও শুট করার জন্য রাজস্থান, পাটনা, দিল্লিতেও গিয়েছিলেন তিনি। স্বামী-স্ত্রীর অর্থ উপার্জনের পথকে মেনে নিয়ে দু’টি দামী স্মার্টফোনও কিনেছিলেন ওই দম্পতি। কখনও তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ভিডিও শ্যুট করতে যেতেন। আবার কখনও বিমানবন্দরে গিয়ে ছেড়ে আসতেন স্ত্রীকে। একা একাই ওই গৃহবধূ নিজের কর্মক্ষেত্রের পরিধি বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত করে নিয়েছিলেন। তাঁর টিকটক ভিডিও ক্রমশই সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।
সেই সুবাদে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় প্রতিমার। তিনি গৃহবধূকে দিল্লিতে একটি ব়্যাম্প শোয়ে অংশ নেওয়ার কথা বলেন। সেই মতো গত ৩১ ডিসেম্বর দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন গৃহবধূ। স্বামীর সঙ্গে একদিন মোবাইলে কথাও বলেন প্রতিমা। তবে বর্তমানে দশদিন কেটে গেলেও ওই মহিলার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি তাঁর স্বামী। যতবারই স্ত্রীর মোবাইল নম্বরে ফোন করেছেন ততবারই হতাশ হয়েছেন তিনি। বারবারই সুইচড অফ পান তিনি। দিশেহারা ওই তরুণীর স্বামী। চুঁচুড়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন তিনি। তবে এখনও ওই মহিলার খোঁজ মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.