সৌরভ মাজি, বর্ধমান: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় নাম ছিল তাঁদের। অর্থও বরাদ্দ হয়। কিন্তু ঘর হয়নি। এখনও থাকেন বাঁধের উপর ঝুপড়িতেই। কিন্তু হল না কেন? কারণ খুঁজতে গিয়ে সামনে এল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর-২ পঞ্চায়েতের কাঠুরিয়া পাড়ায় আবাস যোজনায় দুর্নীতি প্রসঙ্গ। অভিযোগ, সরকারি প্রকল্পে ঘর তৈরি করে না দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন এক তৃণমূল নেতা। অভিযোগ জানিয়ে দুই প্রতারিত বুঝি মাঝি ও সাহেব হাঁসদা বিডিওর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।
ওই দুই আবেদনকারী জানতে পেরেছেন আবাস যোজনায় ঘর তৈরির জন্য তাঁদের নামে টাকা এসেছিল। তাঁদের ছবিও তোলা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, সেই টাকা তৃণমূলের স্থানীয় নেতা রামরঞ্জন সাঁতরা ওরফে বুটে জোর করে নিয়ে নিয়েছেন। এবিষয়ে বৃহস্পতিবার জামালপুর-২ পঞ্চায়েতে বৈঠকও হয়। সেখানে ঠিক হয়েছে এই অনুচিত কাজের জন্য ওই নেতাকে সরকারি প্রকল্প মোতাবেক জমি দিয়ে বাড়ি তৈরি করে দিতে হবে। উপপ্রধান উদয় দাস জানান, পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত না মানলে প্রশাসনই আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। বিডিও শুভংকর মজুমদার অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল নেতা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
২০১৭-১৮ আর্থিক বছরের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বুঝি মাঝির নাম রয়েছে তালিকার ৪৪ নম্বরে। আর সাহেব হাঁসদার নাম রয়েছে ওই তালিকার ২৯ নম্বরে। বুঝি মাঝির দাবি, আবাস যোজনার ওই টাকায় অন্য একজনের ঘর করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। এর জন্য ওই তৃণমূল নেতা তাঁকে ২০ হাজার টাকাও দেবে বলেছিলেন। কিন্তু সেটাও গায়েব করে দিয়েছে তৃণমূল নেতাদের একাংশ। বুঝির আরও দাবি, ঘর করে দেওয়ার জন্য তাঁর নামে জোর করে অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছিল ওই তৃণমূল নেতা। টাকা এলে ওই নেতা জোর করে তা তুলে নিত। বুঝির দাবি, সরকারি প্রকল্পের টাকায় শংকর চক্রবর্তী নামে একজনের ঘর করে দেওয়া হয়েছে। যদিও শংকর সাফ জানিয়েছেন, যা করার বুটে করেছে। তিনি কিছু জানেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.