বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে রানাঘাট থানায় এফআইআর করলেন এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, রানাঘাটের সভা থেকে দিলীপ ঘোষ যা মন্তব্য করেছেন তা ধর্মীয় উসকানিমূলক। সেই কারণেই অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত।
রবিবার নদিয়ার রানাঘাটে দলীয় সভা ছিল বিজেপির। তাতেই প্রধান বক্তা হিসাবে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। CAA বিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘এই রাজ্যে একটাও গুলি চলেনি, লাঠি চলেনি, এফআইআর হয়নি। কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। কিন্তু কেন করেনি? কারও বাপের সম্পত্তি নাকি? মানুষের করের টাকায় রেল-বাস, রেললাইন, রাস্তা করা হয়। সেসব নষ্ট করে দিয়েছে। অসম, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটকে এই শয়তানদের আমাদের সরকার গুলি করে মেরেছে কুকুরের মতো। তুলে নিয়ে গিয়ে কেস দিয়েছে। ওরা এখানে আসবে, খাবে, আর এখানকার সম্পত্তি নষ্ট করবে? জমিদারি পেয়েছে নাকি? লাঠিও মারব, গুলিও করব, জেলেও পাঠাবো। আর তাই করেছে আমাদের সরকার।’
রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিতর্ক। প্রতিবাদে গর্জে ওঠে বিভিন্ন মহল। রাজনৈতিক মহলে তাঁর সমালোচনায় সুর চড়ান প্রায় প্রত্যেকে। দিলীপের মন্তব্যের বিরোধিতায় টুইট করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। দিলীপের বিরুদ্ধে সুর চড়ান বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও। এবার সেই মন্তব্যের কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করলেন রানাঘাটের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কর্মী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত তিনি। সাংসদের বিরুদ্ধে ৫০৫ ও ৫০৬ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিজেপি সাংসদের আচরণের কারণেই নেতা-কর্মীরা অপরাধপ্রবন হয়ে উঠছে। অশান্তি ছড়াতে তাঁদের উসকানি দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন, দিলীপ ঘোষ প্রকাশ্যে গুলি করার হুমকি দিলেন, তবে কি বেআইনি অস্ত্র মজুত রয়েছে তাঁর কাছে? যদিও দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে ভুলভাবে ব্যখ্যা করা হচ্ছে বলেই দাবি নদিয়ার বিজেপি নেতৃত্বের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.