ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: গভীর রাতে জানলা ভেঙে বধূর পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ওই মহিলা ও তাঁর ৩ মাসের সন্তানকে খুনের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচেন মা ও সন্তান। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জীবনতলা এলাকায়। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনাটি জানিয়ে জীবনতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীতা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার বাসিন্দা মধুমিতা হালদার নামে ওই বধূ। তিন মাস আগে সন্তান জন্ম দেন তিনি। অভিযোগ, সোমবার রাতে এলাকার এক তৃণমূল নেতা দলবল নিয়ে ওই বধূর বাড়ি চড়াও হয়। জানালা ভেঙে তাঁর পেটে লাথি মারে। সদ্য সিজার হওয়া বধূকে বেধড়ক মারধরও করে তারা। অভিযুক্তদের অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পায়নি তাঁর তিন মাসের শিশুসন্তানও। খুদেকেও খুন করার চেষ্টা করা হয় বলেই জানিয়েছেন নিগৃহীতা।
এই পরিস্থিতিতে কোনওক্রমে শিশুসন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে জীবনতলা থানার ঘুটিয়ারি শরিফ ফাঁড়িতে যান ওই বধূ। রাতেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তিনি। আক্রান্ত গৃহবধূর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বধূর অভিযোগ, স্বামীকে খুনের উদ্দেশ্যেই এদিন রাতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল ওই তৃণমূল নেতা। কিন্তু তৃণমূল নেতা কেন খুনের চেষ্টা করবেন ওই বধূর স্বামীকে? রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নাকি নেপথ্যে লুকিয়ে অন্য কোনও কারণ? তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, “অভিযোগ মিলেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।” যদিও এবিষয়ে অভিযুক্তের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.