ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত দাস, খাতরা: প্রেমের ফাঁদে ফেলে নাবালককে অপহরণ! পুলিশের জালে দুই সন্তানের মা। পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালককে নিয়ে রাজস্থানে চম্পট দেওয়ার ছক কষেছিল মহিলা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
কে এই মহিলা? কেন এই অপহরণের ছক? জানা গিয়েছে, মহিলার নাম প্রিয়া দাস। পূর্ব বর্ধমানের মোগলমারির বাসিন্দা সে। স্বামী-সংসার-সন্তান সবকিছুই ছিল। কিন্তু বছর তিনেক আগে স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে একটি ছেলের হাত ধরে ঘর ছাড়ে প্রিয়া। কিন্তু সেই সম্পর্কও টেকেনি। বিচ্ছেদের পর আর বাড়ি ফেরেনি প্রিয়া। আরামবাগ, বর্ধমান, কোতুলপুর-সহ বিভিন্ন শহরে একাধিক জনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করতে থাকে সে। কখনও শিখা, কখনও যমুনা, কখনও রুপালি নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্নজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে প্রেমের জালে ফাঁসাত।
জানা গিয়েছে, সেভাবেই কোতুলপুরের ওই নাবালকের সঙ্গে পরিচয়। জয়রামবাটিতে একটি দোকানে কাজ করত সে। নাবালক কিছু না বুঝেই প্রিয়ার প্রেমে পড়ে যায়। প্রথম দিকে দোকানে কাজ করে নাবালকটি যুবতীর নানা আবদার মেটায়। পরে তাকে নিয়ে বর্ধমানে চলে যায়। ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের লোকেরা। পুলিশ তাদের খুঁজছে সেই খবর পেয়ে তারা একের পর এক আশ্রয় পালটাতে শুরু করে। গত চারদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে অবশেষে কামারপুকুর থেকে তাঁদেরকে ধরা হয়।
অপহরণের অভিযোগে শনিবার কামারপুকুর থেকে ওই যুবতীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবুদ্দিন খান বলেন, নাবালকের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বধূকে ধরা হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবতী নাবালককে রাজস্থানে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল। সেই মতো তারা দু’দিন বর্ধমানে লুকিয়ে থাকার পর তারা খড়্গপুরের দিকে রওনা দিয়েছিল। তার আগেই কামারপুকুর থেকে দু’জনকে ধরা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.