ছবি: প্রতীকী
রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: জন্মদিনে প্রেমিক ও বান্ধবীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন তরুণী। বাড়ি ফিরল নিথর দেহ। মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খেজুরিতে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ত্রিকোণ প্রেমের বলি হননি তো তরুণী? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। দায়ের হয়েছে খুনের মামলা।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২০ আগস্ট। ওইদিন জন্মদিন ছিল খেজুরি ২ নম্বর ব্লকের দক্ষিণ শ্যামপুরের বাসিন্দা মূর্ছনা মণ্ডলের। জন্মদিনে প্রেমিক ও বান্ধবীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই অসুস্থ বোধ করেন। এরপরই বাড়িতে ফোন করে বিষয়টা জানান। স্থানীয় বটতলা থেকে জেঠু গোবিন্দ মণ্ডল টোটোয় করে বাড়ি নিয়ে আসছিলেন মূর্ছনাকে। তবে ততক্ষণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। এরপর স্থানীয় জনকা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণীকে। সেখান থেকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা বলা হলে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তরুণীর। প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে তালপাটিঘাট কোস্টাল থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিষক্রিয়ার প্রমাণ মেলে। এরপরই দানা বাঁধে অন্য সন্দেহ।
মূর্ছনার মা দীপালি মণ্ডল জানান, “জন্মদিনে স্থানীয় বটতলায় বেড়াতে গিয়েছিল মেয়ে। প্রেমিক ও বান্ধবী ছিল। সেখানে তাঁদের মধ্যে কী হয়েছে না হয়েছে আমরা জানি না। পরে সন্ধেয় মেয়ে ফোন করে।” জানা গিয়েছে, তরুণী জানিয়েছিল, প্রেমিক মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়েছিল। কিন্তু কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি মৃতের মা জানান, মেয়ের মৃত্যুর আগে ওই বান্ধবী নিয়মিত বাড়িতে আসত। অথচ এতদিনে একবার খোঁজ পর্যন্ত করেনি। যা স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।
কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যায় বিষক্রিয়ায় ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। তারপরই পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মতো আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.