প্রতীকি ছবি
ধীমান রায়, কাটোয়া: ভাত রান্না করতে দেরি হয়েছিল। অপরাধ এতটুকুই। তার চরম মাশুল গুণতে হল বর্ধমানের (Bardhaman) গুসকরার বাসিন্দা এক বধূকে। প্রেমিকের চড়ে মৃত্যু হল তাঁর। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
জানা গিয়েছে, বছর পনেরো আগে গুসকরারই এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই মহিলার। ওই দম্পতির দুটি সন্তানও রয়েছে। বছর দেড়েক আগে এলাকারই অপর এক যুবক মহাবীর ওরফে জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে বধূর। এক পর্যায়ে স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি। সেই মতো ছেলেকে নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে চলে যান ঝাড়খণ্ডে। মহাবীরের ভাই অর্জুনের বাড়িতে থাকতে শুরু করে তাঁরা। প্রথমদিকে ভালই চলছিল। সম্প্রতি ভাত রান্না করতে দেরি হওয়া নিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে বচসা বাঁধে মহাবীরের। অভিযোগ, তখনই রাগের বশে প্রেমিকাকে চড় মারে অভিযুক্ত। তাতেই মৃত্যু হয় বধূর। ঘটনার পরই অভিযুক্ত তার ভাইকে বিষয়টি জানায়। এরপর লুকিয়ে পালিয়ে আসে গুসকরায়। অর্জুন পুলিশকে বিষয়টি জানালে ঝাড়খণ্ড পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপর রবিবার সন্ধেয় ঝাড়খণ্ড থেকে একটি আ্যম্বুল্যান্সে মহিলার মৃতদেহ গুসকরায় নিয়ে আসে কয়েকজন। তাঁরা দেহটি গুসকরা পুরএলাকার বাগানেপাড়ায় মহাবীরের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। কিন্তু মহাবীর ও তার পরিবার দেহ নিতে অস্বীকার করে। এরপরই কুনুর নদীর সেতুর নীচে দেহ ফেলে চলে যান ওই অপরিচিত লোকেরা। তা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রথমদিকে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়, ওটি করোনারোগীর দেহ। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ তদন্ত করতেই স্পষ্ট হয় গোটা বিষয়। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় মহাবীরকে। সোমবার ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে ঝাড়খণ্ড নিয়ে যাওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.