ছবি: প্রতীকী।
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বিয়ের তিনবছর পেরিয়ে গেলেও সন্তান হয়নি। এই অপরাধে শ্বশুরবাড়িতে দিনের পর দিন নির্যাতনের শিকার বধূ। প্রথম প্রথম শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কথা বাপেরবাড়িতে জানালেও আত্মীয়রা কষ্ট পাবে ভেবে পরবর্তীতে আর কিছুই জানাতো না বছর বাইশের জামিলা বিবি। রবিবার সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল ওই তরুণীরই দেহ। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ঢোলাহাট থানার দক্ষিণ রায়পুরের নয় নম্বর ঘেরীতে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে ঢোলাহাট থানার শংকরপুরের বাসিন্দা জামিলার সঙ্গে বিয়ে হয় ওই থানারই দক্ষিণ রায়পুরের নয় নম্বর ঘেরীর বাসিন্দা রহমতুল্লা শেখের। বিয়ের একবছর পর থেকেই দাম্পত্যকলহ শুরু হয়। খুঁটিনাটি সামান্য বিষয় নিয়েই জামিলার ওপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মানসিক অত্যাচার চালাতো। এমনকি তাঁকে মারধর করত বলেও বাপেরবাড়ির লোকের অভিযোগ। প্রথমে বেশ কয়েকবার শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কথা ওই তরুণী বাপেরবাড়িতে জানানোয় সমাধানের জন্য দুই পরিবার বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসেছেন। কিন্তু লাভ কিছুই হয়নি। বিয়ের তিনবছর পরও কোনও সন্তান না হওয়ায় বধূর উপর অত্যাচার ক্রমশ বাড়তে থাকে।
এই পরিস্থিতিতে রবিবার সকালে জামিলার শ্বশুরবাড়ির এক প্রতিবেশীই তাঁর বাপেরবাড়িতে ফোন করে জানান, তাঁদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। মেয়ের শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে তাঁরা দেখেন জামিলার দেহ মেঝেতে শোওয়ানো। শ্বশুরবাড়ির কেউ সেখানে নেই। এরপরই পুলিশের কাছে জামিলার স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বাপের বাড়ির সদস্যরা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.