বাবুল হক, মালদহ: দাবি মতো পণের টাকা দিতে পারেননি বাবা। যার জেরে প্রাণ গেল মালদহের (Malda) ইংরেজবাজারের বধূর। বাপের বাড়ির অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম রিংকি শীল মণ্ডল। বয়স ২৬ বছর। মালদহ শহরের কৃষ্ণপল্লী নেতাজি কলোনির বাসিন্দা ছিলেন তিনি। যদুপুরের বাসিন্দা ছোটন মণ্ডলের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িতে পড়েছিলেন তরুনী। দুই পরিবারের সম্মতিতেই তাঁদের চার হাত এক হয়। ওই দম্পতির এক সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নাকি পণের জন্য তরুণীর উপর অত্যাচার করত পরিবারের লোকেরা। মারধর করা হত।
মৃতার বাবার অভিযোগ, সম্প্রতি একটি টোটো কেনার সাধ হয় তাঁর জামাইয়ের। সেই জন্য স্ত্রীকে পণ হিসেবে ২ লক্ষ টাকা বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে। তা নিয়ে নাকি অশান্তিও চলছিল। রিংকিদেবীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলছিল। এসবের মাঝেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শ্বশুরবাড়িতে ঘর থেকে উদ্ধার হয় রিংকির ক্ষত বিক্ষত দেহ। অভিযোগ, ভারী বস্তু দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে বধূকে।
ইতিমধ্যেই পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। বাপের বাড়ির তরফে ইতিমধ্যেই ইংরেজবাজার থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে। মেয়ের এই পরিণতিতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.