ছবি: প্রতীকী
রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে রড ও লাঠি দিয়ে বধূকে মারধরের অভিযোগ। জোর করে খাওয়ানো হল গর্ভপাতের ওষুধ! কাঠগড়ায় স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। নক্কারজনক এই ঘটনার সাক্ষী নদিয়ার থানারপাড়া থানার পণ্ডিতপুর। স্বামী-সহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা।
জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর নাম সাগরা বিবি। নদিয়ার পিপুলখোলা গ্রামের বাসিন্দা এই তরুণীর বারো বছর আগে বিয়ে হয় পণ্ডিতপুরের শরিফুল শেখের। তাঁদের ৭ বছরের একটি ছেলে ও এক কন্যাসন্তান আছে। সম্প্রতি ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন সাগরা। মৃতার বাবার দাবি, তাঁর মেয়ে চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বাচ্চাটিকে নষ্ট করার জন্য তাঁর জামাই শরিফুল ও তাঁর বাড়ির লোকেরা বারবার চাপ দিচ্ছিল। এই কথা ফোনে বেশ কয়েকবার সাগরা বাড়িতে জানিয়েছিলেন। অভিযোগ, গর্ভপাতে রাজি না হওয়ার কারণেই বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় সাগরাকে। এমনকী পায়ে অ্যাসিডও ঢেলে দেওয়া হয়। জোরপূর্বক খাওয়ানো হয় গর্ভপাতের ওষুধ। এর পরই শুরু হয় রক্তক্ষরণ।
অভিযোগ, রক্তক্ষরণের ফলে তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পরিবর্তে শরিফুল ও তাঁর বাড়ির লোকেরা সাগরাকে আরও মারধর করে। অবস্থা বেগতিক বুঝে এক প্রকার মৃতপ্রায় অবস্থায় তরুণীকে নতিডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় স্বামী। যদিও তার পর আর কেউ তাঁর খোঁজ নেয়নি বলেই অভিযোগ। সাতদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মৃতার বাবা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.