সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা এক মহিলার যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল ভিলেজ পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে উত্তাল হয়ে ওঠে সুন্দরবন পুলিশ জেলার ঢোলাহাট (Dholahat) থানার দিগম্বরপুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিরাট পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের লক্ষ্য করেও ছোঁড়া হয় ইট। এরপরই লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ও গ্রামবাসী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাট থানার দিগম্বরপুর গ্রামে কর্মতীর্থ নামে একটি বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। ইন্দ্রনারায়ণপুর, দিগম্বরপুর ও পশ্চিম শ্রীধরপুর-এই তিনটি গ্রামের করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা ও পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্যই ওই সেন্টার। সেখানকার দায়িত্বে ছিল ভিলেজ পুলিশ জাহির আব্বাস। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে কোয়ারেন্টাইনে থাকা এক মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে ওই ব্যক্তি, যৌন নিগ্রহও করে। সেই সময়ই সেন্টারটির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন স্থানীয় পবিত্র মণ্ডল ও দেবাশিস দাস। বিষয়টি নজরে পড়তেই ঘটনাটির ভিডিও করে ওই দুই যুবক।
এরপর এলাকার বাসিন্দাদের তাঁরা সমস্তটা জানাতেই ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেন সকলে। রাতেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের বাইরে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তখনই অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সরব হন স্থানীয়রা। পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে নির্যাতিতা মহিলা ও অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা অভিযুক্তকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায়। পুলিশের হাত থেকে জাহির আব্বাসকে ছিনিয়ে নিয়ে মারধরও করে স্থানীয়রা। পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এরপর আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। অভিযুক্তের স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামীকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এর আগেও গ্রামের কয়েকজন মহিলা অভিযুক্তের লালসার শিকার হয়েছিলেন। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানিয়েছেন, এদিনের ঘটনায় মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.