দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় স্ত্রী ও ছ’মাসের সন্তানকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার ভরতগড় এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, বছর চারেক আগে শিমুলতলা গ্রামের বাসিন্দা রেহানার সঙ্গে বিয়ে হয় এন্তাজুল হালদারের। প্রথম দিকে সব কিছু স্বাভাবিক ছন্দে চললেও, কিছুদিন পর থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। কারণ, অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এন্তাজুল। বিষয়টি জানাজানি হতেই এন্তাজুলের সঙ্গে অশান্তি শুরু হয় রেহানার। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতেও ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি বাধে। অভিযোগ, অশান্তি চরমে উঠলে স্ত্রী ও সন্তানের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয় অভিযুক্ত এন্তাজুল।
এরপর রেহানা ও তাঁর সন্তানের চিৎকারে আশেপাশের মানুষজন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে খবর দেয় মহিলার বাপের বাড়িতে। এরপরই দগ্ধ অবস্থায় ওই বধূ ও শিশুকে উদ্ধার করে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ৬ মাসের সদ্যোজাতের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় রেহানার। এরপরই খবর দেওয়া হয় বাসন্তী থানায়। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত এন্তাজুল ও তার পরিবারের সদস্যরা।
মৃত রেহানার মা জানান, “দীর্ঘদিন ধরেই অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল জামাই। রেহানা সব জানিয়েছিল। ভেবেছিলাম, দু’পক্ষের মধ্যে কথা বললে সব মিটে যাবে। কিন্তু এমন পরিণতি হবে ভাবতে পারিনি।” স্থানীয়রাও জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি চলছিল জানি, কিন্তু তার পরিণতি এতটা ভয়ংকর হতে পারে বলে কেউ ভাবেনইনি৷ উপযুক্ত শাস্তি পাক অভিযুক্তরা, দাবি মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীদের।
[আরও পডুন: ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির বৈঠক সেরেই ধানখেতে নেমে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.