ছবি: প্রতীকী
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: ফের নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা। অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রী-সহ এক যুবককে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর ও সেই ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবক ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই ঘরবন্দি ওই তরুণী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, একাধিকবার বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলেও কোনও ফল মেলেনি। আতঙ্ক দিন কাটাচ্ছে ওই তরুণীর পরিবার।
সূত্রের খবর, কয়েকবছর আগে দেগঙ্গার চাকলা গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল বৈদ্যর সঙ্গে বিয়ে হয় কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ওই তরুণীর। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শরিফুলের সন্দেহ ছিল যে, অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে স্ত্রী। এই নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তিও হয়।এরপরই সন্দেহের বশে স্ত্রী ও এক যুবককে ঘরের চালের সঙ্গে বেঁধে ফেলে শরিফুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বেঁধে রেখে বেধড়ক মারধর করা হয় ওই যুবক ও তরুণীকে। মারধরের পর দু’জনকেই ন্যাড়া করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর গোটা ঘটনাটির ভিডিও রেকর্ড করে অভিযুক্তরা। সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল সাইটে। এর মধ্যেই মারধরের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হয় তরুণীর বাপের বাড়ির সদস্যরা। অভিযোগ, ঘটনাস্থলের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে পুলিশ ফাঁড়ি হওয়ার পরও সেদিন ওই তরুণী ও যুবককে উদ্ধারে যায়নি পুলিশ। এমনকী রক্তাক্ত অবস্থায় তরুণীকে ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হলেও কোনও কাজ হয়নি।
তরুণীর বাবার কথায়, পুলিশ নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে বলছে। এমনকী ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়েও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলেই অভিযোগ তাঁদের। তবে এই ঘটনার পর থেকেই ঘরবন্দি তরুণীর পরিবার। ওই দিনের নারকীয় অত্যাচারের পরও ক্রমাগত স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হুমকি দিয়ে চলেছে শরিফুল, এমন অভিযোগও প্রকাশ্যে এসেছে। এহেন পরিস্থিতিতে গ্রামে টেকাই কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠছে ওই তরুণীর পরিবারের কাছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.