সব্যসাচী চক্রবর্তী: চলন্ত ট্রেন থেকে উধাও তিন বছরের শিশুকন্যা। মেয়ের সন্ধানে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিলেন মা। মা ও মেয়ে দুজনকেই উদ্ধার করেছে জিআরপি ও পুলিশ। নেহাতই বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছে শিশুটি। তবে ওই মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর মাথা গুরুতর আঘাত লেগেছে। শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি তিনি। শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির নিজবাড়ি ও রাঙাপানি স্টেশনে মাঝে।
[বর্ধমানে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে নার্সিংহোমে ভাঙচুর, জিটি রোডে অবরোধ]
জানা গিয়েছে, স্ত্রী পারমিতা ও তিনবছরের মেয়ে আহেলিকে নিয়ে সিকিমে বেড়াতে গিয়েছিলেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা মানস পাল। তাঁদের সঙ্গে আরও কয়েকজন বন্ধু ছিলেন। শনিবার রাতে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে ফিরছিলেন তাঁরা। ওই পরিবারটির দাবি, ট্রেনটি যখন নিজবাড়ি ও রাঙাপানি স্টেশনে মাঝে ছিল, তখন চলন্ত ট্রেনে শৌচাগারে গিয়েছিলেন পারমিতা। মায়ের পিছু নেয় আহেলিও। পারমিতার স্বামী মানস লাগেজ গোছাতে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু, শৌচাগার থেকে বেরিয়ে মেয়েকে আর দেখতে পাননি পারমিতা। প্রথমে বেশ কিছুক্ষণ কামরাতেও খোঁজাখুঁজি করেন ওই দম্পতি। এরপরই তাঁরা খেয়াল করেন, কামরার দরজাটি খোলা। তা দেখেই মানস ও তাঁর স্ত্রী পারমিতা ধারণা হয়, খোলা দরজা দিয়ে পড়ে গিয়েছে তাঁদের একমাত্র মেয়ে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কিছু বুঝে ওঠার আগেই চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন পারমিতা। তড়িঘড়ি চেন টেনে ট্রেন থামান অন্য যাত্রীরা। খবর দেওয়া হয় ফাঁসিদেওয়া থানা ও নিউ জলপাইগুড়ি থানায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে মা ও মেয়ে দুজনকেই উদ্ধার করে পুলিশ ও জিআরপি।
[বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ, গ্রেপ্তার সিভিক ভলানটিয়ার]
আশ্চর্যজনকভাবে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েও বেঁচে গিয়েছে তিন বছরের আহেলি। তার হাতে সামান্য চোট লেগেছে। তবে গুরুতর আহত হয়েছেন পারমিতা। ওই মহিলাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পরে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোম স্থানান্তর করা হয়। পারমিতার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে নিউ জলপাইগুড়ি জিআরপি।
[জঙ্গলে কারা দিচ্ছে আগুন? হাতির চিৎকারে অস্থির এলাকাবাসী ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.