মণিরুল ইসলাম, হাওড়া: অশান্তির জেরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাগনানের হরিনারায়ণপুর এলাকায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বর্তমানে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধৃত।
চন্দন বিশ্বাস নামে ওই যুবক আদতে বাড়িয়ার বাসিন্দা। মাসেক আগে সস্ত্রীক বাগনানের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মণ্ডলের বাড়িতে ভাড়া আসে সে। রেলের কর্মী হিসেবেই সকলে তাঁকে চিনতেন। জানা গিয়েছে, একাধিক সংস্থা থেকে প্রচুর টাকা ধার নিয়েছিল চন্দন। মাঝে মধ্যেই পাওনা টাকা চাইতে বেশ কিছু লোক তার কাছে আসতেন। বুধবার সকালেও এক সংস্থার তরফে চন্দনের বাড়িতে হাজির হন বেশ কয়েকজন। দরজার বাইরে তালা দেখার পরও একাধিকবার ডাকাডাকি করেন তাঁরা। কিন্তু কারও সাড়া মেলেনি। এরপরই তাঁরা ঘরের ভিতর থেকে পচা গন্ধ পান। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেতেই খবর দেওয়া হয় মুগকল্যান পঞ্চায়েতে।
পঞ্চায়েতের তরফে খবর দেওয়া হয় বাগনান থানায়। এরপর বাগনান থানার পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই দেখতে পান ঘরময় রক্তের দাগ। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় বধূর রক্তাক্ত দেহ। অসুস্থ অবস্থায় পাশেই ছিল চন্দন। আটক করা হয় তাকে। মৃতার দিদি জানান, বছর তিনেক আগে দ্বিতীয় স্ত্রী নিমা মণ্ডলকে বিয়ে করে চন্দন। রেল কর্মী পরিচয় দিয়ে বিয়ে করলেও কিছুদিন পরই প্রকাশ্যে আসে আসল তথ্য। জানা যায়, ভুয়ো পরিচয় দিয়ে বিয়ে করেছে সে। এরপরই স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি বাড়তে থাকে। প্রায়দিনই কাকলিকে মারধর করত সে। অভিযোগ, সেই ঝামেলার কারণেই স্ত্রীকে খুন করেছে অভিযুক্ত। যদিও মৃতার পরিবারের তরফে এখনও খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। কিন্তু মুহূর্তের অশান্তি থেকে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড তা মানতে নারাজ তদন্তকারীরা। কারণ, দরজার বাইরে থাকা তালা। তবে কি পরিকল্পনা করেই বাইরে থেকে তালা দিয়ে ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে খুন করে চন্দন? কারণই বা কী? কেনই বা স্ত্রীর দেহ আগলে বসে রইল সে? এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.