সুমন করাতি, হুগলি: খুনের মামলায় জেল খাটতে হয়েছিল বেশ কয়েকদিন। জামিনে মুক্তি পেয়ে উত্তরপ্রদেশে চলে যান। ফিরে এসে টোটো চালিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন। হুগলি স্টেশনের কাছ থেকে বছর সাতাশের সেই যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা। প্রাথমিকভাবে অনুমান, খুন করা হয়েছে তাঁকে। তবে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
নিহত সঞ্জয় রাজবংশী। রবিবার সারাদিন টোটো নিয়ে বাইরে বেরোননি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় তিনি হুগলি স্টেশনের কাছে হনুমান পুজোর এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানে খিচুড়ি ভোগ খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়েছিল। রাত প্রায় সাড়ে ১২টা নাগাদ এক অচেনা ব্যক্তি বাড়িতে আসেন। জানান, সঞ্জয় রাস্তায় অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি বাইরে যান। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় সঞ্জয়কে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করা হয়। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে হুগলি স্টেশনের কাছেই এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয়। দীর্ঘদিন জেলবন্দি ছিলেন। ২০২৩ সালের দুর্গাপুজোর পর জামিনে ছাড়া পান। তারপর থেকেই উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় দিদির বাড়িতে থাকছিলেন। মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসতেন। দোলের পর থেকেই তিনি হুগলিতে ছিলেন। টোটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কেন আচমকা তাকে খুন হতে হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পুরনো শত্রুতার জেরে এই খুন হতে পারে। পরিবারের দাবি, যিনি রাতের বেলা দরজায় এসে খবর দেন, তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর উদ্দেশ্য নিয়েও সন্দেহ দানা বেঁধেছে। চন্দননগর কমিশনারেটের ডিসিপি অলকানন্দা ভাওয়াল জানান, তদন্তের পরেই খুনের প্রকৃত কারণ এবং অভিযুক্তদের পরিচয় জানা যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.