ছবি : প্রতীকী
জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: প্রেমিককে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তরুণীর বিরুদ্ধে। যুবকের মৃত্যুর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে তাঁর পরিবার। ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তরুণীর বাবার দোকানে। বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাড়োয়ার। আদতে কী কারণে আত্মঘাতী হল ওই যুবক, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বসিরহাটের (Basirhat) হাড়োয়ার বাসিন্দা রাকেশ ইসমাইল। বেশ কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় এলাকারই এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। পরবর্তীতে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। কিন্তু কিছুদিন পেরতে না পেরতেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, শনিবার সন্ধেয় প্রেমিকার সঙ্গে বচসা হচ্ছিল রাকেশের। দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর অনেকটা সময় আর সাড়া মেলেনি ওই যুবকের। ডাকাডাকি করেও শব্দ না মেলায় সন্দেহ হয় পরিবারের। এরপরই খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে যুবকের ঝুলন্ত দেহ। রাতেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
এই ঘটনার পরই রাতে হাড়োয়া ধর্মতলা বাজার এলাকায় তরুণীর বাবার দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মৃত যুবকের পরিজন ও প্রতিবেশীরা। চুরমার করে দেওয়া হয় দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরা, টেবিল, চেয়ার, কম্পিউটার, বাইক। বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হাড়োয়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাঁরাই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই রাকেশকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিত ওই তরুণী। কিন্তু কেন? এবিষয়ে রাকেশ কি বাড়িতে কিছু জানিয়েছিল? নাকি গোটা ঘটনার পিছনে লুকিয়ে অন্য রহস্য তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, রাকেশের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক কোনও দিন মেনে নেয়নি তরুণীর পরিবার। তা নিয়ে চাপানউতোর চলছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.