ছবি: প্রতীকী
জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: করোনা আবহে দিল্লি থেকে ফেরার পর একাধিকবার নমুনা পরীক্ষার হয়েছে। প্রতিবারই রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। তা সত্ত্বেও যুবককে জোর করে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশীদের চাপে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছে ওই যুবক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জে।
করোনা আতঙ্কে ত্রস্ত গোটা দেশ। এরই মাঝে সংক্রমণের আতঙ্ক কয়েকগুণ বাড়িয়েছে নিজামু্দ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশে যোগদানকারী এ রাজ্যের বেশ কিছু বাসিন্দা। এ পরিস্থিতিতে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় খবর চাউর হয়ে যায় যে, নিজামুদ্দিন ফেরত ২ যুবক রয়েছে সেখানে। শুরু হয় তল্লাশি। সহজেই হদিশ মেলে এক যুবকের। জানা যায়, সম্প্রতি দিল্লি থেকে ফিরেছেন , তবে নিজামুদ্দিন কাণ্ডে যোগ নেই বলেই জানান তিনি। তাঁর টিকিট অনুযায়ী দেখা যায় যে, ১১ মার্চ বাড়ি ফিরেছেন তিনি। অতএব প্রায় ১ মাস আগে। এরপর নিয়ম মেনে তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। প্রথমবার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর একাধিকবার তাঁর লালারস পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু কোনওবারই তাঁর শরীরে করোনার জীবাণুর অস্তিত্ব মেলেনি। এরপরই প্রশাসনের তরফে তাঁকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়।
কিন্তু ওই যুবক যে করোনা আক্রান্ত নন, তা মানতে নারাজ তাঁর প্রতিবেশীরা। সংক্রমণের আশঙ্কায় কাঁটা তাঁরা। প্রত্যেকের দাবি, অবিলম্বে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠাতে হবে ওই যুবককে। সূত্রের খবর, এবিষয়ে পুলিশের দ্বারস্থও হন স্থানীয়রা। পুলিশের তরফে স্থানীয়দের বোঝানো হয় যে, সম্পূর্ণ সুস্থ ওই যুবক। তা সত্ত্বেও আতঙ্ক এতটাই গ্রাস করেছে যে যুবকের বাড়ির সামনে থেকে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছেন প্রতিবেশীরা। লাগাতার এহেন আচরণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই যুবক। একটি বন্দি করে ফেলেছেন নিজেকে। কতদিনে স্বাভাবিক হবে সবটা সেই অপেক্ষায় দিনগুনছে পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.