সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসানসোলের পর উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের মদিনাচকেও শুটআউট। গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ গেল এক যুবকের। জখম আরও তিনজন। তাঁরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এদিকে, আসানসোলে গুলিবিদ্ধ হোটেল মালিকেরও মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধে থেকেই গোয়ালপোখরের মদিনাচকে শুরু হয় দু’পক্ষের সংঘর্ষ। তাতেই প্রাণ যায় মহম্মদ আরিফ নামে এক যুবকের। নিহতের কাকা মহম্মদ খলিল জৈনগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ নাজিসের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বিবাদ ছিল। সেই বিবাদের জেরে সংঘর্ষ বাঁধে। তারই মাঝে গুলিবিদ্ধ হন আরিফ-সহ চারজন। আরিফের মৃত্যু হয়েছে। তবে বাকি তিনজন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কে বা কারা গুলি চালাল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে, হোটেলে ঢুকে দুষ্কৃতী হামলাকে কেন্দ্র করে আসানসোল দক্ষিণ থানার সেনরালে রোডে ব্যাপক চাঞ্চল্য। শুটআউটে প্রাণ গেল ওই অভিজাত হোটেলের মালিক অরবিন্দ ভগতের। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দুই দুষ্কৃতী হোটেলে গ্রাহক সেজে ঢোকেন। হোটেলের রিসেপশনের কাছে সোফাতে মালিক অরবিন্দ ভগৎ বসেছিলেন। দুই গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। বাইরে থেকে হেলমেট পড়ে এক ব্যক্তি আসে। প্রথমে ফিল্টারে জল ভরছিলেন। তারপর অতর্কিত সামনে থেকে গুলি চালায় হেলমেট পড়া ওই ব্যক্তি।
একজন গুলি চালানোর সঙ্গে সঙ্গে আরেকজন টুপি পরা ব্যক্তিও সামনে থেকে গুলি চালায়। এরপর দু’জন পালিয়ে যায়। সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা মোটর বাইকে চড়ে সেনরেলে রোড হয়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক জুবলি মোড়ের দিকে বেরিয়ে যায়। কী কারণে দুষ্কৃতী হামলা তা স্পষ্ট নয়। তবে মনে করা হচ্ছে হামলার নেপথ্যে ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও শত্রুতা থাকতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে আসানসোল দক্ষিণ পুলিশ ফাঁড়ি। ঘটনাস্থলের ঠিক উল্টোদিকেই বাড়ি মন্ত্রী মলয় ঘটকের। এমন এলাকায় এই ধরনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.