রাজা দাস, বালুরঘাট: ট্রেনে চেপেও বাড়ি ফেরেননি ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়া বছর পঁচিশের যুবকের। গত ছ’মাস যাবৎ ছেলের অপেক্ষায় পথ চেয়ে মা। একমাত্র ছেলের খোঁজ পেতে পুলিশ প্রশাসনের উপরেই ভরসা তাঁর।
বালুরঘাট শহরের উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা শর্মিলা ভৌমিক। বালুরঘাট পুরসভার অস্থায়ী কর্মী শর্মিলা দেবীর স্বামী বছর আটেক আগে মারা গিয়েছেন শারিরীক অসুস্থতার কারণে। বছর কয়েক আগে তাঁর একমাত্র ছেলে বিশ্বজিৎ কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন মুম্বই। পরে বিহারে কাজ করেন। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে তিনি পুণে যান কাজ করতে। নিজের মোবাইল না থাকায় বন্ধুদের মোবাইল থেকেই যোগাযোগ রাখতেন মায়ের সঙ্গে। শারীর খারাপ জানিয়ে তিনি বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন। ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর পুণে থেকে হাওড়াগামী ট্রেনেও ওঠেন। যার ভিডিও সে তাঁর মায়ের মোবাইলে পাঠায়। কিন্ত এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এদিকে সময় গড়িয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি বিশ্বজিৎ। রহস্যজনকভাবে নিঁখোজ ছেলের খোঁজ পেতে তিনদিন পর বালুরঘাট থানায় ডায়েরি করেন মা শর্মিলা দেবী।
কিন্ত আজও হদিশ নেই বিশ্বজিৎ ভৌমিকের। এদিকে বাড়িতে বসে ছেলের আসার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন মা শর্মিলা ভৌমিক। শর্মিলা দেবী জানান, পুণেতে থাকার দু’মাস পরই বাড়ি ফিরতে চায় ছেলে। রওনা দিয়েছিল ট্রেনে। কিন্ত আড়াই-তিনদিনের পথ আজও শেষ হল না। এখন পুলিশ-প্রশাসনের উপরই ভরসা। শর্মিলা দেবীর কথায়, নেশা করত বিশ্বজিৎ। মাথায় সমস্যাহতে পারে। সেকারণে হয়ত কোথাও আটকে পড়েছে সে। এদিকে, বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা জানান, থানাগুলোকে এসংক্রান্ত তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। ঘটনার তদন্ত চলছে। কোনো খবর পাওয়া মাত্রই বাড়িতে জানিয়ে দেওয়া হবে পুলিশের পক্ষ থেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.