ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও টাকা, কখন বা অন্য কোনও কারণ, কিছু না কিছু নিয়ে নিয়মিত বৃদ্ধার উপর মানসিক নির্যাতন চালাত ছেলে-পুত্রবধূ। বৃদ্ধা মুখ খুললেই জুটত বেধড়ক মার। ঠাকুমার অসহায় পরিস্থিতি বুঝতে পেরে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ালেন নাতি। পুলিশে লিখিত অভিযোগও করেন তিনি। ঘটনাটি ক্যানিংয়ের অঙ্গদবেড়িয়ার।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) ক্যানিংয়ের (Canning) বাসিন্দা ওই বৃদ্ধার নাম গুলাল বেওয়া। স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলে-পুত্রবধূর সংসারেই ছিলেন তিনি। কিন্তু ছেলে জামাত আলি লস্করের পক্ষে মায়ের অন্ন সংস্থান করা সম্ভব হচ্ছিল না। সেই কারণেই ভিক্ষাবৃত্তির পথ বেছে নেন বৃদ্ধা। দু’বেলা দু’মুঠো জোগাতে নিয়মিত ভিক্ষে করতেন তিনি। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। অভিযোগ, বৃদ্ধা দিনের শেষে যা পেতেন তা হাতানোর চেষ্টা করত ছেলে-বউমা। চুরিও করত। প্রতিবাদ করলেই বৃদ্ধার কপালে জুটত মার। এসবের মাঝে অশান্তি আরও বাড়ে জামাত আলির ছেলে বিয়ে করায়। কারণ, ছেলে-বউমাকে মেনে নেয়নি জামাত ও তাঁর স্ত্রী। এরপর গুলাল বেওয়া তাঁর ভাইয়ের বাড়িতেই নাতি-নাতবউয়ের থাকার ব্যবস্থা করে দেন। এতে বৃদ্ধার উপর আক্রোশ বাড়ে জামাত ও তাঁর স্ত্রীর।
অভিযোগ, সেই কারণেই বৃদ্ধার উপর অত্যাচারের মাত্রাও বাড়ে। মাকে বেধড়ক মারে জামাত ও স্ত্রী। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করে। খবর পেয়েই বাড়িতে ছুটে যায় বৃদ্ধার নাতি। তিনিই ঠাকুমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ক্যানিং হাসপাতালে। বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও করেন। এবিষয়ে ওই যুবক জানান, “বাবা-মা প্রায়ই ঠাকুমাকে মারধর করত। ঠাকুমার জমানো টাকা চুরি করত। ওদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছি।” যুবকের সাহসের প্রশংসা করছেন স্থানীয়রা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.