সম্যক খান, মেদিনীপুর: ভালবাসার মানুষকে ফিরে পেতে অনেকেই জলপাইগুড়ির অনন্তের পথে হেঁটেছেন। ধরনায় বসে অনেকে ফিরেও পেয়েছেন হারানো প্রেমিক-প্রেমিকাকে। কিন্তু বিপরীত ঘটনাও ঘটেছে। ধরনায় বসায় পুলিশ হেফাজতে ঠাঁই হওয়ার নিদর্শনও রয়েছে। প্রেমিকাকে ফিরে পেতে এবার সপরিবারে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন এক যুবক। এবার ঘটনাস্থল ঝাড়গ্রামের খয়েরবনী গ্রাম।
স্কুলজীবনেই প্রেমিকার সঙ্গে পরিচয় হয় ঝাড়গ্রামের মোহনপুরের অনির্বাণ মাহাতোর। বন্ধুত্ব থেকেই ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁদের। বর্তমানে বিএড পাঠরতা ওই তরুণী। অনির্বাণ জলপাইগুড়ির এক কলেজে এমটেক পাঠরত। দূরে থাকলেও স্বাভাবিকছন্দেই চলছিল তাঁদের সম্পর্ক। একাধিকবার অনির্বাণের বাড়িতেও গিয়েছে মেয়েটি। অনির্বাণের পরিবার ছেলের প্রেমিকাকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনেও নিয়েছিলেন। কিন্তু আচমকাই ছন্দপতন। কিছুদিন আগেই হঠাৎ ওই তরুণী অনির্বাণকে জানিয়ে দেয় যে, সে তাকে বিয়ে করতে পারবে না। তার বাড়ি থেকে বিয়ের সম্বন্ধ দেখছে। বিষয়টি জানতে পেরে আকাশ থেকে পড়েন অনির্বাণ। ফোনেই যোগাযোগ করেন প্রেমিকার পরিবারের সঙ্গে।
অভিযোগ, তখনও অনির্বাণের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। এরপর একাধিকবার চেষ্টা করেও প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি ওই যুবক। রবিবার নয়টা নাগাদ আচমকা সপরিবারে প্রেমিকার বাড়িতে হাজির হয় অনির্বাণ। প্রেমিকা সপরিবারে দিঘা যাওয়ায় ফাঁকা বাড়ির সামনেই ধরনায় বসে পড়েন অনির্বাণ ও তার পরিবার। হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘আমার ৭ বছরের ভালবাসা ফিরিয়ে দাও।’ ছিল দুজনের একসঙ্গে কাটানো নানান মুহুর্তের ছবিও। অনির্বাণের মায়ের কথায়, ছেলের বা আমাদের কি দোষ সেটাই আমরা জানতে পারলাম না। এভাবে তাদের একমাত্র ছেলের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হল কেন?
ওই তরুণীর দাদা স্বীকারও করেছেন যে, একসময় তাঁর বোনের সঙ্গে অনির্বাণের সম্পর্ক ছিল। তাঁর কথায়, বোন হয়তো ছেলেটির সঙ্গে মিশে বুঝতে পেরেছে তাঁরা একসঙ্গে সারাজীবন চলতে পারবে না। তাই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত। অনির্বাণের কারণেই ওই প্রেমিকা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দাবি তরুণীর দাদার। অনির্বাণ পরিকল্পনামাফিক অসভ্যতা করছে বলেও জানান তিনি। অবশেষে অনির্বাণকে সরাতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই তরুণীর পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.