রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: কুয়েতে (Kuwait) কাজে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল যুবকের। দেহ বাড়ি ফেরাতে একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও ফল পায়নি পরিবার। অবশেষে সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই বাড়ি পৌঁছল প্রসেনজিৎ মণ্ডল নামে ওই শ্রমিকের কফিন বন্দি দেহ। জানা গিয়েছে, মৃতের সহকর্মীদের চাপে পড়ে সংস্থাই বাধ্য হয়ে ওই যুবকের দেহ বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করে।
নদিয়ার তেহট্ট থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সাহাপুর পূর্বপাড়ার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মণ্ডল নামে বছর ৩১-এর ওই যুবক। সংসারে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। সেই কারণে কার্যত বাধ্য হয়েই বছর দুয়েক আগে কুয়েতে যান প্রসেনজিৎ। কিছুদিন আগে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু করোনার কারণে আসা হয়নি। তবে বাড়ির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন তিনি। এরই মাঝে গত ১০ আগস্ট সকালে কুয়েত থেকে ওই যুবকের সহকর্মীরা নদিয়ায় খবর দেয় যে, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে প্রসেনজিতের। ছেলের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া মাত্রই স্থানীয় বিডিওর সঙ্গে যোগাযোগ করে যুবকের পরিবার। বিডিও তাঁর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও সহযোগিতাই মেলেনি। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে। মৃতের দাদার অভিযোগ, তিনিও কোন সহযোগিতা করেননি।
এরপর দেহ ফিরিয়ে আনতে কুয়েতের কোম্পানিতে কর্মরত প্রসেনজিতের সহকর্মীদের সঙ্গেই যোগাযোগ করে পরিবারের সদস্যরা। সেখানকার কর্মীরাই মৃতদেহ বাড়ি ফেরানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। তাঁদের চাপে পড়ে কোম্পানির তরফে প্রসেনজিতের দেহ ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়। বৃহস্পতিবার ওই যুবকের কফিনবন্দি দেহ সাহাপুরের বাড়িতে পৌঁছয়। মৃতদেহ গ্রামের পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রসেনজিতের আত্মীয়, পরিজন-সহ গ্রামের মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.