ছবি: প্রতীকী
সাবিরুজ্জামান, লালবাগ: আত্মহত্যা নাকি খুন? স্ত্রীর পরকীয়ার বিরুদ্ধে সুর চড়ানো এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভগবানগোলা থানার হাবাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাসমহলের ঘটনা। এই ঘটনায় পুলিশ মৃতের স্ত্রীকে আটক করেছে।
মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা থানার হাবাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাসমহলের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা রাজেশ শেখ। বছর দশেক আগে দিলরুবা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। দু’জনের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর কয়েকবছর বেশ সুখেশান্তিতেও দিন কাটছিল তাঁদের। তবে পাঁচ বছর আগে থেকে সম্পর্ক উষ্ণতা হারায়। শীতল দাম্পত্য সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ ঘটে। অভিযোগ, দিলরুবা শেখ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দা জাকির শেখের সঙ্গে ফের মন দেওয়া নেওয়া হয় তাঁর। তা জানাজানি হওয়ার পর থেকে প্রবল আপত্তি জানান রাজেশ। এই নিয়ে দিনরাত অশান্তি লেগেই থাকত। একাধিকবার পরকীয়া ছেড়ে ফের সংসারে মন দেওয়ার কথা দিলরুবাকে বলেছিলেন তিনি। তবে তা সত্ত্বেও দিলরুবা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারেননি বলেই দাবি তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের।
বুধবার সকালে বাড়ির অদূরে একটি গাছ থেকে রাজেশের দেহ ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় ভগবানগোলা থানার পুলিশ। তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। মৃতের জামার পকেটে পিন দিয়ে গাঁথা ছিল তাঁর স্ত্রীর প্রেমিক জাকির হোসেনের নাম। সেটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত নিজেই নাকি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নাম লেখা ওই চিরকূটটি তাঁর পকেটে দিল, তা নিয়ে চলছে চাপানউতোর। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ মৃতের পরিবারের সদস্যরা। মৃতের ভাই রাজেশ শেখের দাবি, পথের কাঁটা সরাতে প্রেমিকের যোগসাজশে স্বামীকে খুন করেছেন দিলরুবা। পরিবারের অন্যান্যদের গলাতেও একই সুর। যদিও স্বামীকে খুনের কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। দাবি, আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁর স্বামী। এই ঘটনায় দিলরুবাকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর প্রেমিক জাকির শেখের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। দিলরুবাকে জেরা করে এই ঘটনার জটিলতা কাটবে বলেই আশা তদন্তকারীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.