দিব্যেন্দু মজুমদার: আমফান বাংলায় ধ্বংসলীলা চালানোর পর ছ’দিন কেটে গিয়েছে। এখনও বিদ্যুৎ নেই শেওড়াফুলির বহু এলাকায়। অবিলম্বে সেই এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল করার দাবিতে জিটিরোডে অবরোধে বসলেন চাঁপদানির বিধায়ক আবদুল মান্নান। এলাকা বিদ্যুৎহীন হওয়ার জন্য তিনি সিইএসসির দিকে আঙুল তুলেছেন। জানিয়েছেন, সিইএসইর অপদার্থতার জন্যই আজ ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যতক্ষণ না বিদ্যুৎ আসছে, অবরোধ চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।
গত সপ্তাহের বুধবার দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশেরও বেশি এলাকায় রীতিমতো তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় আমফান। তারপর থেকে ছ’দিন কেটে গিয়েছে। এখনও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। রাজ্যের বহু এলাকা এখনও মুড়ে রয়েছে অন্ধকারে। এই নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করছেন স্থানীয়রা। কলকাতার বাঘাযতীনের শ্রীকলোনিতেও পথ অবরোধ হয় মঙ্গলবার। এছাড়া বারুইপুরের কাছে ক্যানিং রোডও সকালে অবরোধ করে স্থানীয়রা। একইভাবে হুগলি জেলার শেওড়াফুলির বিভিন্ন এলাকা এখনও বিদ্যুৎহীন। ফলে জল পাচ্ছেন না বহু মানুষ। ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরেই ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে বিষয়টি জানান তাঁরা। তিনিও উদ্যোগী হয়ে সিইএসইকে খবর দেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এলাকা এখনও বিদ্যুৎহীন।
এর জেরে মঙ্গলবার সকালে চাপদানির বিধায়ক আবদুল মান্নান শেওড়াফুলি ফাঁড়ির সামনে জিটিরোডে চেয়ার পেতে অবরোধে শুরু করেন। তিনি বলেন, তাঁর এই অবরোধের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সিইএসই’র অপদার্থতার জন্যই এখনও বহু এলাকায় বিদ্যুৎ আসেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। কংগ্রেস নেতার এই অবরোধের ফলে এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কিন্তু সেখানে মান্নানের সঙ্গে তাদের বচসা হয়। বিদ্যুৎহীন এলাকায় বিদ্যুৎ না আসা পর্যন্ত অবরোধ তুলতে রাজি হননি তিনি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ এখনও চলছে। মান্নানের সঙ্গে অবরোধে শামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.