সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরে নিজের সংসদীয় কেন্দ্র থেকেই রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) পৈলানে বার্ধক্য ভাতা প্রদান অনুষ্ঠান দিয়ে তা শুরু হল। এদিনের সভাকে ‘রাজনৈতিক সভা নয়’ বলে বার্তা দিয়েও তিনি একাধিক বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে কী বার্তা দেন দলের ‘সেনাপতি’, সেদিকে নজর ছিল সকলের। পৈলানের অনুষ্ঠান মঞ্চে তিনি এই জল্পনায় জল ঢেলে বললেন, ”কোনও দ্বন্দ্ব নেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ দল।” তবে বাস্তব সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বয়স নিয়েও নিজের মত শোনালেন। নিজের বয়সের কথা উল্লেখ করে অভিষেকের মন্তব্য, ”৭০ বছর বয়স হলে কি পারতাম এত কাজ করতে?”
প্রতিশ্রুতিমতো ডায়মন্ড হারবারের পৈলানে প্রথম ধাপে বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হল সাংসদের তরফে। এখানকার ৭৫ হাজার প্রবীণ নাগরিক বার্ধক্য ভাতার জন্য নথিভুক্ত হয়েছেন। তাঁদের হাতে ১০০০ টাকার চেক তুলে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ”আমরা কথা দিয়ে কথা রাখি। এটা কথা রাখার অনুষ্ঠান। এখানকার প্রবীণ মানুষজনের দরকার, তা আমি বুঝেছি। তাই তাঁদের বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আজ থেকে সেই কথা রাখার কাজ শুরু হল।” অভিষেক আরও জানান, রাজ্য সরকার যদি নাও দেয়, তিনি যতদিন পারবেন, এই অর্থ দিয়ে যাবেন।
দলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে সম্প্রতি বেশ বিতর্ক উস্কেছে। এদিনের সভা থেকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মত, ”কোথাও কোনও দ্বন্দ্ব নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দল ঐক্যবদ্ধ। আমি দলের অনুগত সৈনিক। দল যে দায়িত্ব দেবে, সেটাই পালন করব।” তাঁর আরও বক্তব্য, ”দল আমাকে ২০২৩ সালে নবজোয়ার করতে বলেছিল, করেছি। ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ করতে বলা হয়েছিল, তাও করেছি। ৩৬ বছর বয়স ছিল বলে হাঁটতে পেরেছি। বয়স ৭০ হলে কি পারতাম? ২০২৪-এ কোনও দায়িত্ব দিলেও পালন করব।” অভিষেকের এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, দলের একতার কথা বললেও বয়স নিয়ে বাস্তব সমস্যার দিকটি এড়াচ্ছেন না তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.