ছবি: প্রতীকী
অতুলচন্দ্র নাগ ও অংশুপ্রতিম পাল: সাতসকালে বাস ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ। মৃত্যু হল চালকের, জখম ১২ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বহরমপুর করিমপুর রাজ্য সড়কের নয় মাইলে। একইদিনে কেশপুরের (Keshpur) মুসাবাগান এলাকায় লরির পিছনে অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। পৃথক দুটি ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পাঁচটা নাগাদ বাসটি ইসলামপুরের লোচনপুর থেকে শেখপাড়া হয়ে বহরমপুরের দিকে যাচ্ছিল। দৌলতাবাদের নয় মাইলের কাছে যেতেই ঘটে বিপত্তি। যাত্রী বোঝাই বেসরকারি ওই বাসটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় মালবোঝাই লরির। বাসের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। স্থানীয়রাই প্রথমে ছুটে যান ও জখমদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জখমদের উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম স্বপন সরকার (৪২)। তাঁর বাড়ি বহরমপুরের কাশিমবাজার এলাকায়। ঘটনায় বাসের কন্ডাক্টর অমিত সাহা (৪৫) গুরুতর জখম হয়েছে। জানা গিয়েছে, জখমদের মধ্যে রানিনগর ও ইসলামপুরের বাসিন্দা বেশিরভাগ। দুর্ঘটনার জেরে সকালে বহরমপুর-করিমপুর রাজ্য সড়কে বেশ কিছুক্ষনের জন্য যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাস ও লরিটিকে থানায় নিয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, কুয়াশার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। লরির চালক ও খালাসি পলাতক।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের মুসাবাগানের ৭ জন অ্যাম্বুল্যান্সে বাড়ি ফিরছিলেন ভুবনেশ্বর থেকে। জলেশ্বরে ওড়িশা ও বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকায় জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির পিছনে সজরে ধাক্কা মারে অ্যাম্বুল্যান্সটি। আহত হন সকলেই। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পথে রোগীকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.