ছবিটি প্রতীকী
শ্রীকান্ত দত্ত, পশ্চিম মেদিনীপুর: পঞ্চায়েত ভোটের পর্ব মিটেছে প্রায় মাসখানেক হল। অথচ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও অব্যাহত ভোট পরবর্তী হিংসা। কখনও আক্রান্ত বিরোধীরা, আবার কখনও আক্রান্ত খোদ শাসকদল। এবার তেমনই ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের জ্যোতকানুরামগড় গ্রামে। প্রকাশ্য রাস্তায় এক তৃণমূল কর্মীকে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারল দুষ্কৃতীরা। অভিযোগের তির স্থানীয় নির্দল প্রার্থীর সমর্থকের দিকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তৃণমূল কর্মী আরিক মল্লিক এখন এসএসকেএমে ভরতি।
গতকাল বিকেলে নিজের বাইকে করে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন আরিক মল্লিক। অভিযোগ, সেসময় তাঁকে মাঝরাস্তায় দাঁড় করায় জনা পাঁচ-ছ’য়েক নির্দল সমর্থক। তৃণমূল করার অপরাধে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। আরিকের মুখে অ্যাসি়ড ছুঁড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় আক্রান্তকে প্রথমে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরের নির্দেশ দেন চিকিৎসকরা। আপাতত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই তৃণমূল কর্মীকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ঘটনার সঙ্গে পাঁচ-ছ’জনের জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে । এদের মধ্যে দু’জনকে ইতিমধ্যেই পাকড়াও করেছে পুলিশ। জহিরুদ্দিন খান এবং আবদুল খান নামের ওই দুই ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবি পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ান স্থানীয় তৃণমূল নেতা আবুল কালাম। তাঁরই সমর্থকরা এদিন হামলা চালিয়েছে আরিক মল্লিকের উপর। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য দাবি করছে ঘটনার সঙ্গে সিপিএমেরও যোগ রয়েছে। সিপিএমের সমর্থনেই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন আবুল কালাম। সুতরাং, তৃণমূল কর্মীকে হামলার পিছনে সিপিএমের জড়িত থাকার সম্ভাবনা দেখছেন জেলা পরিষদের সভাপতি তপন দত্ত। যদিও, স্থানীয় সিপিএম নেতারা এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন । তাদের দাবি, তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। ভোটের আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীরা বেগ দিতে পারে শাসকদলকে। এমনকী ফলপ্রকাশের পর বড় জয়ের মাঝেও নির্দল কাঁটায় বিদ্ধ হয়েছিল শাসকদল। ভোটপর্ব মিটলেও সেই নির্দল জট যে এখনও কাটেনি তা দাসপুরের ঘটনায় স্পষ্ট বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.