সুব্রত বিশ্বাস: শুক্রবারের পর ফের শনিবার যাত্রী বিক্ষোভে উত্তাল হল হাওড়া স্টেশন (Howrah Station) চত্বর। রেলকর্মীদের জন্য বরাদ্দ ট্রেনে ওঠার দাবি নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে জড়ো হন যাত্রীরা। ক্যাব রোডের গেট দিয়ে ওই যাত্রীরা ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করতেই আরপিএফ (RPF) বাধা দেয়। আর তাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষপর্যন্ত অবশ্য যাত্রীদের স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
যাত্রীদের কথায়, তাঁরা অনেকেই স্বাস্থ্যকর্মী ও জরুরি কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাই তাঁদের রেলকর্মীদের বরাদ্দ ট্রেনে চড়তে দিতে হবে। একই দাবিতে শুক্রবার প্রায় দেড় ঘণ্টা স্টেশনের বাইরে রেল পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা চলে সাধারণ যাত্রীদের।
এদিন প্রশাসন আগাম সতর্ক ছিল। স্টেশনের বাইরে মানুষজন জড়ো হতেই সতর্ক হয়ে যায় আরপিএফ। এদিন ঝামেলা হতে পারে এমন আশঙ্কাতে বাড়তি বাহিনীও রাখা হয়েছিল। এদিনও সন্ধ্যের পর অ-রেলকর্মীরা স্টেশনে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে। যাদের মধ্যে অসংখ্য মহিলা যাত্রীও ছিলেন। ওই যাত্রীদের বাধা দেয় আরপিএফ। এরপরেই গন্ডগোলের শুরু। চলে হাতাহাতি। বিশাল সংখ্যার আরপিএফ ও পুলিশ এসে লাঠি উঁচিয়ে ছত্রভঙ করে দেয় ক্ষিপ্ত যাত্রীদের।
হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান বলেন, “রাজ্যের অনুমতি ছাড়া অ-রেলকর্মীদের ট্রেনে চড়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না। রাজ্য অনুমতি দিলেই রেল চলবে সাধারণ যাত্রীদের জন্য।” ট্রেনে ওঠার দাবিতে এর আগে শিয়ালদহ ও হাওড়ার বিভিন্ন স্টেশনে একাধিকবার বিক্ষোভ, ভাঙচুর হয়। এরপর রেল রাজ্য কে বৈঠকে বসার আবেদন জানায়। যদিও রাজ্য কোনও সাড়া দেয়নি বলে রেল সূত্রে জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, রোডসাইড স্টেশন গুলিতে সাধারণ যাত্রীদের ট্রেন চড়ার বিষয়টি লঘু করা হলেও হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশনে সাধারণ যাত্রীদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি। ফলে যাত্রীরা, লিলুয়া, বেলুড়, বিধাননগর, পার্ক সার্কাসে ট্রেনে এসে নেমে ঘুরপথে কলকাতা যান। যাত্রীদের দাবি, হাওড়া, শিয়ালদহ থেকে তাদের ট্রেনে চড়তে দিতে হবে। সড়কপথে দীর্ঘ সময় ও খরচে তাঁরা পেরে উঠছেন না। এই অবস্থায় লোকাল ট্রেনের দাবিতে তারা আবার সরব হবেন বলে জানান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.