ফাইল ছবি।
অর্ণব দাস, বারাসত: আহিরীটোলা কাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, পিসি শাশুড়িকে খুনের পর দেহ ট্রলিতে ঢোকাতে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছিল ধৃত ফাল্গুনী ঘোষ ও আরতি ঘোষকে। এদিকে শুধু বঁটিতে পায়ের হাড় কাটা সম্ভব নয়। তাই প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে মৃত সুমিতাদেবীর পায়ের হাড় ভাঙে ধৃতরা। তারপর তা টুকরো করা হয় বঁটি দিয়ে।
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ফাল্গুনী ও আরতি ঘোষ নাকি পুলিশকে জানিয়েছে, নিহত সুমিতা ঘোষের রক্তমাখা জামাকাপড় একটি ছোট ট্রলিতে ভরে ছিল তারা। কিন্তু নোয়াই খালে ডুবুরি নামিয়েও উদ্ধার হয়নি দ্বিতীয় ট্রলি। তাই পুলিশ অনুমান, জামাকাপড় ফেলার পর ছোট ট্রলি বাড়িতেই নিয়ে আসতে পারে মা-মেয়ে। সেক্ষেত্রে ভাড়া বাড়ি তল্লাশির পরই আসল সত্যি উদঘাটন হবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে দেহ টুকরো করতে ব্যবহৃত অস্ত্র।
উল্লেখ্য, ২৪ ফেব্রুয়ারি সাতসকালে আহিরিটোলা ঘাটে ভারী ট্রলি গঙ্গায় ফেলতে গিয়ে সকলের নজরে পড়ে মা-মেয়ে। ঘাটে উপস্থিত জনতার কৌতূহলী দৃষ্টি আর জিজ্ঞাসার মুখে পড়ে নিজেদের কূট চাল ফাঁস হয়ে যায়। ট্রলিতে কুকুরের দেহ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে এড়িয়ে যেতে চাইলেও পুলিশে খবর পৌঁছতেই একেবারে দফারফা হয়ে যায় দেহ লোপাটের ব্লু প্রিন্ট। পুলিশ দুই মহিলাকে আটক করে। ট্রলি খুলে দেখা যায়, তাতে মুণ্ডহীন মহিলার তিন টুকরো দেহ। তাঁদের গ্রেপ্তার করতেই জানা যায়, ট্রলিতে ছিল ধৃত ফাল্গুনীর পিসিশাশুড়ির দেহ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.