রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা ডুর্য়াসে হাতির হামলার নতুন নয়। রাতবিরেতে লোকালয়ে ঢুকে যখন তাণ্ডব চালায় হাতির দল, তখন ভয়ে দরজা আটকে ঘরে বসেন থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু, তাতেও রক্ষা নেই! বিছানা থেকে তুলে আছাড় মেরে এক মহিলাকে খুন করল দাঁতাল হাতি। মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বনকর্মীরা। শনিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের ধনতলি গ্রামে।
[ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রীর নামে কুরুচিকর পোস্ট, শ্রীঘরে কালনার যুবক]
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের একেবারেই লাগোয়া ধনতলি গ্রাম। কাছেই টিয়াবাড়ির জঙ্গল। শনিবার ভোরে তখন ভাল করে আলো ফোটেনি। টিয়াবাড়ির জঙ্গল থেকে একটি বুনো হাতি ঢুকে পড়ে ধনতলি গ্রামে। নিজের বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন বছর ছাপান্নের রেনুবালা বর্মন ও তাঁর স্বামী। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বেড়া ভেঙে সটান শোওয়ার ঘরে ঢুকে পড়ে হাতিটি। ঘুমন্ত অবস্থায় রেনুবেলাদেবীকে বিছানা থেকে তুলে আছাড় মারে দাঁতালটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন রেনুবালা বর্মনের স্বামী। সকালে যখন বনকর্মী মৃতদেহটি উদ্ধার করতে যান, তখন ক্ষোভে ফেটে পড়েন ধনতলি গ্রামের বাসিন্দারা। বনকর্মীদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।
আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের ধনতলি গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামে যখন তখন হাতি ঢুকে পড়ছে। কিন্তু, বনদপ্তরের কোনও হেলদোল নেই। উলটে রেনুবালা বর্মনের মৃতদেহটি কোন বিভাগের কর্মীরা উদ্ধার করবেন, তা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বনকর্মীদের মধ্যে আলাপ-অলোচনা চলে। ফলে মৃতদেহ উদ্ধার করতে অহেতুক দেরি হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, হাতির হামলা রুখতে ধনতলি গ্রামে টহল দিতে হবে বনকর্মীদের। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারে্র বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত। বস্তুত, হাতির হামলার মৃত রেনুবালা বর্মনের পরিবারকে বনদপ্তর ২০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদানও দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[ পুজোর আগেই খুলছে দেশের বৃহত্তম ইন্টিগ্রেটেড পর্যটনকেন্দ্র ‘ভোরের আলো’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.