প্রতীকী ছবি।
স্টাফ রিপোর্টার, হাওড়া: পরিবারের অনুমতি না নিয়েই সন্তান প্রসবের সময় প্রসূতির জরায়ু কেটে বাদ দিলেন ডাক্তাররা! এমনই অভিযোগ উঠল ডোমজুড়ের একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে ডোমজুড়ের কাটলিয়ার একটি নার্সিংহোমে। ঘটনার পর প্রসূতির পরিবারের লোকজন নার্সিংহোমে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ভাঙচুরের চেষ্টা চালায় বলেও অভিযোগ। এমনকী চিকিৎসকের গাড়ি আটকে বিক্ষোভও দেখানো হয়। পরে ডোমজুড় থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিন সকাল ৮টা নাগাদ অঙ্কুরহাটির বাসিন্দা নাসিরা বেগম নামে ওই মহিলা সন্তান প্রসবের জন্য ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা জানান, ওই মহিলার সিজার করতে হবে। সেইমতো সিজার হয়। কিন্তু নাসিরা বেগমের পরিবারের এক সদস্য শেখ সফিউলের অভিযোগ, সিজার করার সময়ই পরিবারের লোকেদের অনুমতি না নিয়ে জরায়ু কেটে বাদ দিয়ে দেন চিকিৎসক। যার ফলে নাসিরা বেগম আর কোনওদিন মা হতে পারবেন না। এমনকী ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেলেও ছেলে না মেয়ে সন্তান প্রসব হয়েছে তা পরিবারকে জানানো হয়নি। উলটে বলা হয়েছে, রক্তের জন্য টাকা দেওয়া হোক তবে মা ও শিশুকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ানো হবে।
এদিকে নার্সিংহোমের যে চিকিৎসক নাসিরা বেগমের সিজার করেন সেই চিকিৎসক অন্তরা দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, “সিজারের সময় প্রচণ্ড রক্তপাত হচ্ছিল মহিলার। সন্তান প্রসব করানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। মা ও সন্তান দু’জনেরই প্রাণসংশয় হয়েছিল, তাই মহিলার স্বামীর অনুমতি নিয়েই জরায়ু কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। মহিলার স্বামী লিখিতভাবে সেই অনুমতি আমাদের দিয়েছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.