ছবি: প্রতীকী
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আমফানে (Amphan) ক্ষতিগ্রস্তদের ফের আবেদনের সুযোগ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। আগে আবেদন করেও যাঁরা ক্ষতিপূরণ পাননি তাঁদেরকেই দ্বিতীয়বার এই সুযোগ দিতে চেয়েছিল নবান্ন (Nabanna)। এই জন্য গত ৬ ও ৭ আগস্ট স্থানীয় SDO বা BDO অফিসে আবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। আর এই দু’দিনেই পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনা–এই ছয় জেলা মিলিয়ে জমা পড়ল ৫ লক্ষ ৬০ হাজার আবেদন। যা নিয়ে সন্দিগ্ধ খোদ নবান্ন। ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তালিকার আপাদমস্তক খতিয়ে দেখে তবেই তা ১৪ আগস্ট জেলাশাসকের দফতর, বিডিও এবং পুর অফিসে প্রকাশ করা হবে। ঝাড়াই বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা ১৯ আগস্ট “এগিয়ে বাংলা” ওয়েবসাইটেও দেওয়া হবে।
এদিকে, মাত্র দু’দিনে কীভাবে এত সংখ্যক আবেদন জমা পড়তে পারে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে খোঁজ খবর শুরু করেছে নবান্ন। জানা গিয়েছে, সবচেয়ে বেশি আবেদন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার। ২ লক্ষ ৭ হাজার। তারপরেই নাম দক্ষিণ ২৪ পরগনার। ১ লক্ষ ৪৭ হাজার। তৃতীয় উত্তর ২৪ পরগনা। ১ লক্ষ ১৭ হাজার। এ ছাড়াও তালিকায় নাম রয়েছে কলকাতা পুরসভা এলাকা, হাওড়া, হুগলি জেলার আবেদনকারীদেরও। এর আগে, ঘূর্ণিঝড় আমফানে যাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙেছে, তাঁদের ২০ হাজার টাকা করে এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের ৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আমফানে প্রাথমিকভাবে প্রায় ২২ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল। ১৭ লক্ষ ৩০ হাজার আবেদন যোগ্য বিবেচিত হয়। ইতিমধ্যে ১৪ লক্ষ ৮২ হাজার ক্ষতিগ্রস্তের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে। এজন্য খরচ হয়েছে ১ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা।
যদিও এই পর্বে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। একাধিক ভুয়া আবেদন ধরা পড়ে। প্রকৃতরা ক্ষতিপূরণ পাননি বলে ক্ষোভ তৈরি হয়। দলীয় স্তরে তার তদন্তে শাস্তিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রশাসনও ব্যবস্থা নিয়েছে। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণের টাকা অবশ্যই পাবেন। তবে আবেদনে সত্যতা থাকতে হবে। কিন্তু মাত্র দু’দিনে এত সংখ্যক আবেদন জমা পড়া নিয়ে ফের সন্দেহ দানা বাঁধছে। এর মধ্যেই অসংখ্য আবেদন জমা দিতে না পেরে বিক্ষোভও চলেছে একাধিক জায়গায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.