সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বিকেল বাড়তেই রাজ্যে দাপট দেখাতে শুরু করেছে আমফান। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সন্ধে ছ’টা নাগাদ কলকাতায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ১১২ কিলোমিটার। একাধিক জায়গায় গাছ ভেঙেছে। বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ। এর মাঝেই রাজ্যে আমফানের জেরে প্রাণ গেল একজনের।
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে মৃত্যু হল এক কিশোরীর। হাওড়ার শালিমারে ওই কিশোরীর মাথায় টিন পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সূত্রের খবরে। তবে ওই কিশোরীর নাম ও পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানাতে পারা যায়নি বলে খবর পুলিশ-প্রশাসন সূত্রে। অন্যদিকে হাওড়ার পাশাপাশি বসিরহাটেও এক ব্যক্তি মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ২ জন। মৃতব্যক্তির নাম মোহন্ত দাস। তাঁর বাড়ি মাটিয়া এলাকায়। এছাড়াও ঝড়ের দাপটে বসিরহাটের প্রায় ৫ হাজার বাড়ি ভেঙেছে। খানাকুলের মাইনান গ্রামে এক মহিলা গাছের ডাল পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে তাকে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের অন্তত ৩০টি জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। এছাড়া একাধিক পোস্ট ভেঙে পড়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। ঝড়ের আগে থেকেই শহরের সব ফ্লাইওভার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে গাছ পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলি সরানোর কাজও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি শহর জুড়ে চলছে তুমুল বৃষ্টি।
প্রসঙ্গত, আমফান সাইক্লোনের জন্য চরম সতর্কতা জাড়ি হয়েছে আরামবাগ মহকুমাজুড়ে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য। বুধবার দুপুরের পর থেকেই শুরু হয়েছে ব্যাপক ঝড় ও বৃষ্টি। খানাকুল ব্লকের প্রায় ৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিজের স্কুল ঘরে রাখার ব্যবস্থা করেছে মহাকুমা প্রশাসন। গোঘাট ব্লকে আরামবাগ মেদিনীপুর রাস্তায় কাজ করে যান চলাচল ব্যাহত। দুপুরের পর থেকেই আরামবাগ মহকুমা জুড়ে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে সমুদ্র এলাকা অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। সিভিল ডিফেন্স এর কর্মীরাও নেমে পড়েছে বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধারকার্য।বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আরামবাগ মহকুমা জুড়ে লকডাউন কারণে মাঠের ধান এখনো তুলতে পারেনি চাষিরা সেই সমস্ত ধান হয়ে গেছে বলেই জানাচ্ছে এলাকার চাষীরা। মহকুমা প্রশাসক নিজস্ব কন্ট্রোল রুম খুলেছে এবং আরামবাগ পৌরসভার পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে কোন মানুষ বিপদে পড়লে সেখানে যোগাযোগ করার জন্য।
আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী জানান আমরা সদা সর্বদা ব্যস্ত সবকিছু স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি মানুষ কোথাও বিপদে পড়লে সেখানে আমাদের পৌঁছে গিয়ে তাদের যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরামবাগের মহকুমা শাসক নিপেন্দ্র সিং জানান প্রশাসন সদাসর্বদা তৈরি আছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মানুষের পাশে পৌঁছে যেতে।পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে এবং মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে যে যার এলাকায় নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে যেতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.