বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: করোনা (CoronaVirus) পর্বের শুরু থেকেই খোলা মাঠে লড়াই করছেন নদিয়ার পুলিশকর্মীরা। ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর সুবিধা নেই এই করোনা (COVID-19) যোদ্ধাদের। নিজেদের কর্তব্য পালন করতে গিয়ে জেলার কয়েকটি থানার বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন। এবার ছোঁয়াচ এড়াতে কাচের ঘেরাটোপে বন্দি হলেন পুলিশকর্মীরা। নদিয়া জেলার (Nadia district) কোতোয়ালি থানার এই বন্দোবস্তকে করোনা আটকানোর মোক্ষম দাওয়াই বলে মনে করছেন অনেকেই।
এরই মধ্যে ওই থানার তিন পুলিশকর্মী আক্রান্ত। তাঁদের সংস্পর্শে আসা অন্য পুলিশকর্মীদের সোয়াব টেস্ট করা হচ্ছে। নতুন করে আবার কে যে আক্রান্ত হবেন, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তবু সতর্কতার মার নেই। নিজেদের কিছুটা রক্ষা করার জন্য এক অভিনব পন্থা নিয়েছেন কোতোয়ালি থানার পুলিশকর্মীরা। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তাঁদের অভিযোগ নেওয়া ও কথাবার্তা বলার জন্য থানার সামনে করা হয়েছে অস্থায়ী কাচের ঘর। সেই ঘরে চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে কাজ করছেন পুলিশকর্মীরা। এ বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন কোতোয়ালি থানার আইসি রক্তিম চট্টোপাধ্যায়।
পুলিশের এক আধিকারিক জানান, পুলিশকর্মীরা যতই আক্রান্ত হোন না কেন, থানা তো আর বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। মানুষ বিভিন্ন কারণে তাঁদের অভিযোগ জানাতে আসবেন। তাঁদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে তাই থানা চত্বরের মধ্যেই করা হয়েছে কাচের অস্থায়ী ঘর। সেই ঘরে বসেই কাজ করছেন পুলিশকর্মীরা। আশা করা যায়, এতে সংক্রমণ থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যাবে।
করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই সামনের সারির করোনা যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন পুলিশকর্মীরা। যদিও সংক্রমণ ক্রমশ বাড়তে থাকায় এই জেলায় একের পর এক থানার পুলিশকর্মীরা আক্রান্ত হতে শুরু করেন। ইতিমধ্যেই নাকাশিপাড়া, চাপড়া, ধুবুলিয়া, নাজিরপুর তদন্ত কেন্দ্র, কৃষ্ণনগরের রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের ব্যারাকের পুলিশকর্মীরা, জেলা পুলিশ লাইনের বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের তালিকায় নাম উঠেছে কোতোয়ালি থানারও। সংক্রমণের হাত থেকে নিজেদের কিছুটা রক্ষা করতে প্রায় ১৫ দিন ধরে অস্থায়ী কাচের ঘরে বসে বাইরে থেকে আসা মানুষজনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নিজেদের কর্তব্য পালন করছেন পুলিশকর্মীরা। বিভিন্ন মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনছেন। অভিযোগ লিপিবদ্ধ করছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.