সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: বয়স মোটে ১২ বছর। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিশেষ অনুমতি পেয়ে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল সে। দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করে তাক লাগিয়ে দিল আমতার ‘বিস্ময় বালিকা’ সইফা খাতুন। তবে মেয়ের ফলাফলে একেবারেই খুশি নন তার পরিবারের লোকেরা। সইফার বাবার দাবি, তাঁর মেয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষার মেধাতালিকায় এক থেকে তিন নম্বরের মধ্যে থাকার কথা ছিল। চক্রান্ত করে নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে!
যে বয়সে আর পাঁচটা শিশু ভাল করে কথাই বলতে পারে না, সেই বয়স থেকে পড়াশোনা শুরু করেছে সইফা। পরিবারের লোকেদের দাবি, এক বছর তিন মাস বয়স থেকে পড়াশোনা করছে সে। কোনওদিন স্কুলে যায়নি। বাড়িতে পড়েই মাত্র ছ’বছর বয়সেই মাধ্যমিকের সিলেবাস মুখস্থ করে ফেলে সইফা। তাই তাকে আর স্কুলে নিচু ক্লাসে ভরতি করতে রাজি ছিলেন না পরিবারের লোকেরা। সইফার বাবা মহম্মদ আইনুল পেশায় পল্লি চিকিৎসক। মাত্র ১২ বছর বয়সে মেয়েকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসাতে চেয়ে প্রশাসন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে আবেদন জানান তিনি। বিশেষ প্রতিভার কারণে সইফা খাতুনকে মাধ্যমিক বসার অনুমতি দেয় পর্ষদ।
এবছর হাওড়ার সালকিয়ার অ্যাংলো সংস্কৃত হাইস্কুল থেকে বহিরাগত পরীক্ষার্থী হিসেবে মাধ্যমিকে বসেছিল সইফা খাতুন। দ্বিতীয় বিভাগের পাশ করেছে সে। টেস্টে পরীক্ষা সইফার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৫২ শতাংশ। মাধ্যমিকে মেয়ের রেজাল্টে অবশ্য একেবারেই খুশি নন সইফা খাতুনের বাবা। তাঁর অভিযোগ, কম বয়সে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য রীতিমতো লাঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে সইফাকে। এমনকী, যখন সে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন, তখন পরীক্ষাকেন্দ্রে তাকে নানা উত্ত্যক্ত ও মারধর পর্যন্ত করা হয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এনেও লাভ হয়নি। না হলে প্রতিটি বিষয়ে একশোয় একশো পেত সইফা। মেধাতালিকায় নাম থাকত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.