ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সম্পত্তি নিয়ে বচসার জের। বাবাকে খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। বৃদ্ধের স্ত্রীও ছেলেকে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানা এলাকার দিঘীরপাড় এলাকায়। খবর পেয়েই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানা এলাকার দিঘীরপাড় এলাকার বাসিন্দা ইয়ার আলি মোল্লা(৬৫)। জানা গিয়েছে, ছোট ছেলে সিরাজুলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে বচসা চলছিল তাঁর। এর পর বৃহস্পতিবার গভীররাতে তা চরম আকার নেয়। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরে সিরাজুল। সম্পত্তি নিয়ে ইয়ার আলি মোল্লার সঙ্গে ফের বচসায় জড়ায় সে। এর পরই মাকে সঙ্গে নিয়ে বাবার উপর চড়াও হয় সিরাজুল। বেধড়ক মারধরের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে বৃদ্ধকে কোপায় ছোট ছেলে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ইয়ার আলি।
শুক্রবার ভোরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারেন। তড়িঘড়ি বৃদ্ধকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করে। মৃতের বড় ছেলে আজিজুল মোল্লার দাবি, তাঁর ছোট ভাই এক বছর ধরে বাবাকে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। বৃদ্ধ রাজি না হওয়ায় সিরাজুল ও তাঁদের মা পরিকল্পিতভাবে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আজিজুলের স্ত্রী রমা বর্মন বলেন, দেওর সিরাজুল সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত করেছিল। শ্বশুর দিতে চাইছিলেন না। শাশুড়ি আর দেওর মিলে কুপিয়ে খুন করেছে। ওদের চরমতম শাস্তি হোক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.