অরূপ বসাক, মালবাজার: চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর জখম একটি হাতি। শুক্রবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে নাগরাকাটা স্টেশন ছেড়ে বানারহাটের দিকে যাওয়ার পথে। পা এবং কোমরে মারাত্মক চোট পেয়েছে ওই স্ত্রী হাতিটি। দুর্ঘটনার জেরে ক্ষতি হয়েছে ট্রেনটিরও। ভেঙে গিয়েছে ইঞ্জিন। জখম হয়েছেন চালক-সহ বেশ কয়েকজন যাত্রীও।
শুক্রবার সকাল পৌনে আটটা নাগাদ একটি ট্রেন মালবাজারের নাগরাকাটা স্টেশন ছেড়ে বানারহাটের দিকে যাচ্ছিল। ধরনীপুর চা-বাগানের ভিতর দিয়ে ছুটছিল ট্রেন।ঠিক সেই সময় ডায়না নদীর কাছে রেললাইনের পাশেই ঘুরছিল ওই স্ত্রী হাতি। স্থানীয়দের দাবি, ওই স্ত্রী হাতিটি বেশ কয়েকদিন ধরেই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সম্ভবত ভোরের আলো ফোটার পর ডায়না বনাঞ্চলের দিকে ফেরার চেষ্টা করছিল হাতিটি। আচমকাই রেললাইনের উপর উঠে আসে সে। হাতিটিকে দেখে চালক ট্রেন থামানোর চেষ্টা করেন। তবে তাতে শেষরক্ষা হয়নি। ট্রেনটি ধাক্কা মারে হাতিকে। ছিটকে পড়ে যায় হাতিটি। তার কোমর এবং পিছনের পা মারাত্মকভাবে জখম হয়।
এই দুর্ঘটনার জেরে ট্রেনের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জখম হন ট্রেনের চালক। আচমকা এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। কয়েকজন হাতে-পায়েও গুরুতর চোট পান। আবার অনেকেই ওই জখম হাতির ছবি তুলতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনকর্মীরা। ছুটে আসে পুলিশ। গরুমারা বন্যপ্রাণ শাখার ডিএফও নিশা গোস্বামী বলেন, “হাতিটি মারাত্মক জখম হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শও নেওয়া হয়েছে। তিনি যা বলবেন সেই মতো চিকিৎসা করা হবে হাতিটির।”
রেলের গাফিলতিতে এই কাণ্ড ঘটেছে বলেই দাবি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সিমা চৌধুরির। আলিপুরদুয়ারের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার তনবীরসেন জৈন অবশ্য সরাসরি গাফিলতির অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন,”আমি দুর্ঘটনার কথা শুনেছি। কীভাবে ঘটল তা খতিয়ে দেখছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.