রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: এবার বাংলায় উদ্ধার হাতির দেহ। মঙ্গলবার সকালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব বিভাগ নূরপুরের জঙ্গলে ওই হাতিটির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন বনকর্মীরা। হাতির দেহে কোনও ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে বনকর্মীদের অনুমান, বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে হাতির। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার আগে হাতির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন বনাধিকারিকরা।
অন্যান্য দিনের মতো সোমবারও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব বিভাগ নূরপুরের জঙ্গল ঘুরে দেখতে যান বনকর্মীরা। তখনই দেখা যায় জঙ্গলের মধ্যে পড়ে রয়েছে হাতির দেহ। তবে বনকর্মীরা জানান, হাতির দেহ কোনও ক্ষতচিহ্ন নেই। হাতির দেহাংশও অক্ষত রয়েছে। তাই কোনও চোরাশিকারীর অত্যাচারে যে হাতিটির মৃত্যু হয়নি সে বিষয়ে নিশ্চিত বনকর্মীরা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সোমবার রাতের বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে হাতিটির।
এ বিষয়ে ক্ষেত্র অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, “আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। হাতির দেহাংশ অক্ষত রয়েছে। বজ্রপাতে মারা গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।” বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প লাগোয়া এলাকাগুলিতেই হাতির দেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত হাতির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।”
কেরলে বাজি ভরতি আনারস খাইয়ে হাতি খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে সদ্যই। সেই ঘটনা নিয়ে এখনও তোলপাড় গোটা দেশ। একটি অবলা, অভুক্ত প্রাণীকেও যে এভাবে খুন করা যেতে পারে, তা ভাবতেই পারছেন না অনেকেই। যদিও অনেকেরই দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে হাতিকে বাজি ভরতি আনারস খাওয়ানো হয়নি। ভুল করেই খেয়ে ফেলেছে সে।
কেরলের ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে হাতির দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও এই হাতিটির মৃত্যুর ঘটনায় অমানবিক আচরণ জড়িত নয় বলেই অনুমান বনকর্মীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.