দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: টার্গেট ছিল অন্য কেউ। বন্ধুদের দুই গোষ্ঠীর মাঝে পড়ে, টার্গেট মিস হওয়ায় প্রাণ খোয়াতে হয়েছে সোনারপুরের (Sonarpur) যুবক লাল্টু হাজরাকে। রবিবার হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের কিনারা করে ফেলল পুলিশ। সাংবাদিক সম্মেলন করে বারুইপুর জেলা পুলিশের এএসপি (ASP) মকসুদ হাসান জানিয়ে দিলেন লাল্টু হত্যার রহস্য। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
লাল্টু খুনের প্রেক্ষাপট তৈরি হচ্ছিল সেই পুজোর সময় থেকে। দশমীর বিসর্জনে দীপ হালদার নামে এক যুবক ও তার দলবলের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি হয়েছিল বিশ্বজিৎ সরকারের গোষ্ঠীর। বিশ্বজিতের বন্ধু মৃত লাল্টু। কয়েকদিন ধরে সোনারপুরের কামরাবাদ এলাকায় ময়ূখ ভট্টাচার্য নামে একজনের বাড়িতে থাকছিল বিশ্বজিৎ, লাল্টুরা। শুক্রবার রাত ১২টার পরও লাল্টুর সঙ্গে বিশ্বজিতের কথা হয় ফোনে। বিশ্বজিৎ জানান, তাঁর ফিরতে অনেকটাই দেরি হবে।
এরপর আরও রাত কামরবাদের ওই বাড়িতে দুষ্কৃতীরা আসে। লাল্টুকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার। রাত ২টোর পর বাড়ি ফেরেন বিশ্বজিৎ। বন্ধুর দেহ খাটে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে শিউরে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন পুলিশকে। তদন্তে নেমে খুব কম সময়ের মধ্যেই সোনারপুর থানার পুলিশ হত্যাকাণ্ডের কিনারা করে ফেলে। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বারুইপুর পুলিশের (হেডকোয়ার্টার) অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ সুপার মকসুদ হাসান জানান, দীপ নামে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার সঙ্গে বিশ্বজিতের ঝামেলা ছিল। ওইদিন রাতে বিশ্বজিৎকে টার্গেট করেই এসেছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু তাকে না পেয়ে প্রথমে লাল্টুর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। তার মাঝে আচমকা গুলি (Shootout) চালিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রথমে হাতে গুলি লাগে লাল্টুর। লুটিয়ে পড়ে যান তিনি।
তা দেখে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দীপ ও তার দলবল। কিন্তু তাদের এলোপাথাড়ি গুলি লাল্টুর পেট ফুঁড়ে দিয়েছিল। এরপর রাতে বিশ্বজিৎ ফিরে রক্তাক্ত লাল্টুকে দেখে পুলিশ খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা লাল্টু হাজরাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দীপ গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.