ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও নন্দন দত্ত, বীরভূম: বীরভূমের লকডাউন নিয়ে জোর বিতর্ক। দলীয় কার্যালয়ে বসেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি বীরভূমের লকডাউনের নতুন নির্ঘণ্ট ঘোষণা করলেন। অথচ এ বিষয়ে কিছুই জানে না প্রশাসন। যা দেখে বিরোধীদের কটাক্ষ, তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকেই তো প্রশাসন পরিচালিত হচ্ছে!
বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। কারণ, শনিবার ইদ রয়েছে। তার আগে কেনাকাটি করায় কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বলা হয়েছে, দুপুর ১২টার বদলে বিকেল পাঁচটায় দোকান-বাজার বন্ধ হবে। কিন্তু তৃণমূল জেলা সভাপতির গলায় শোনা গেল অন্য সুর।
এদিন অনুব্রত বলেন, “শুক্র-শনিবার ইদ আছে। তাই এই দু’টি দিন বাজার সারাদিন খোলা থাকবে। ২ আগস্ট থেকে বেলা ৩টে থেকে রাত্রি ১১টা পর্যন্ত লকডাউন চলবে। যত দিন বীরভূমে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হচ্ছে ততদিন এই লকডাউন চলবে।” এর আগে জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত লকডাউনের সময়সীমা ছিল বেলা ১২টা থেকে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত। যা নিয়ে ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল।
অনুব্রতর এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাপাউতোর তৈরি হয়। বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, “প্রশাসনকে অগ্রাহ্য করে দলীয় কার্যালয় থেকেই এই লকডাউন ঘোষণা করেই অনুব্রত মণ্ডল বুঝিয়ে দিলেন তিনিই প্রশাসন চালাচ্ছেন।” জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানান, “লকডাউন নিয়ে পরবর্তী কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ইদ-রাখি গেলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এদিন বোলপুরে তৃণমূলের জেলা পার্টি অফিসে জেলার নেতা কর্মীদের সঙ্গে ভারচুয়াল মিটিং করেন অনুব্রত। সামনে বিধানসভা ভোটকে লক্ষ্য করে কর্মীদের বুথে বুথে বৈঠক করার নির্দেশ দেন। তিনি জানিয়ে দেন প্রতিটি বুথে বুথ কমিটিতে ২০ জন করে মহিলা কর্মী রাখতে হবে।
দেখুন ভিডিও :
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.