সৌরভ মাজি, বর্ধমান: পাঁচ বছরের গেরো কাটল অবশেষে। দুই বর্ধমান জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে কর্মী নিয়োগ শুরু করতে চলেছে প্রশাসন। সোমবার বর্ধমানে পূর্ব বর্ধমান জেলা শাসকের সভাকক্ষে সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘোষণা করেছেন ডিস্ট্রিক্ট লেভেল সিলেকশন কমিটি (ডিএলএসসি)-র চেয়ারম্যান তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু ও ডিএলএসসি-র এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব। মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে ছিল বলে জানিয়েছেন সভাধিপতি। এদিনই ওয়েবসাইটে নির্বাচিত কর্মপ্রার্থীদের তালিকা দেওয়া হয়েছে।পুলিশ ভেরিফিকেশন, মেডিক্যাল, পোস্টিং সংক্রান্ত অপশন-এর ফর্ম প্রার্থীদের পাঠানো হচ্ছে। তা পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে অপশন জানালে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে বলে জেলাশাসক জানিয়েছেন।
[ পাওনা দু’লক্ষ টাকা আদায় করতে গিয়ে খুন প্রৌঢ়, চাঞ্চল্য বালুরঘাটে ]
২০১৩ সালের ৩ ডিসেম্বর অবিভক্ত জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩২ জন নির্মাণ সহায়ক, ১০৯ জন গ্রাম পঞ্চায়েত সহায়ক, ১৬০ জন গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী, ১৯ জন সমিতি এডুকেশন অফিসার, ২৯ জন অ্যাকাউন্টস ক্লার্ক, ৩০ জন ক্লার্ক কাম টাইপিস্ট ও ১৬ জন পঞ্চায়েত সমিতি পিওন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। তারপর ১৯ জানুয়ারি ২০১৪ লিখিত পরীক্ষায় বসেন ৯৮ হাজার কর্মপ্রার্থী। এর মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী ও পঞ্চায়েত সমিতির পিওনের লিখিত পরীক্ষার ফল এখনও প্রকাশ করা যায়নি। বাকি পদগুলির জন্য মৌখিক পরীক্ষা অবশ্য নেওয়া হয়ে যায় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে। তারপর নিয়োগ ঘিরে তৈরি হয় জটিলতা। একের পর এক মামলায় থমকে যায় নিয়োগ। গত বছর সেপ্টেম্বরে ডিএলএসসি পুনর্গঠন করা হয়। এরপরই জট কাটিয়ে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
[ সিবিআই তদন্তের আরজি, কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবার ]
সভাধিপতি জানান, হাই কোর্টে পরপর মামলার কারণে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পরে হাই কোর্টই নিয়োগের উপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে। এবার নিয়োগ করা হচ্ছে। গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী ও পঞ্চায়েত সমিতির পিওন পদ ব্যতীত বাকি পাঁচটি বিভিন্ন পদে মোট ২২৬ জন নিয়োগের কথা ছিল। কিন্তু সংরক্ষণভুক্ত ১১টি পদে প্রার্থী মেলেনি। তাই ওই ১১টি পদ ছাড়া বাকি ২১৫টি পদে নিয়োগ শুরু করা হচ্ছে। দেবু টুডু বলেন, “ডিএলএসসি পুনর্গঠনের পর এই জট কাটানো গিয়েছে। হাইকোর্টের মামলার কারণে ঝুলে ছিল এই নিয়োগ। ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এদিন থেকেই নির্বাচিত কর্মপ্রার্থীদের ফর্ম পাঠানো শুরু হয়েছে।” জেলা শাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, “প্রার্থীরা ফর্ম পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে যোগাযোগ করে চাকরি করতে চায় বলে সম্মতি দিলে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।”
ছবি: মুকলেসুর রহমান
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.