ধীমান রায়, কাটোয়া: চোর ধরতে গিয়ে ঘটল বিপত্তি। মন্ত্রপূত চাল খেয়ে গুরুতর অসুস্থ প্রাথমিক স্কুলের জনা পঞ্চাশেক পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের গোহগ্রাম অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এলাকায় শোরগোল। এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হতেই পালিয়েছে অভিযুক্তরা।
মঙ্গলকোটের পোহগ্রাম অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র জাকির খান। শুক্রবার স্কুলের তার নতুন জ্যামিতি বক্সটি হারিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে যথারীতি ঘটনাটি জানায় সে। পড়ুয়ারা জানিয়েছে, শনিবার স্কুল খোলার কিছুক্ষণই পর হাজির হন জাকিরের মা মারিয়ম। জাকিরের সহপাঠীদের বলেন, জ্যামিতি বক্স কে চুরি করেছে, তা খুঁজে বের করার জন্য সবাইকে মন্ত্রপূত চাল বা চালপড়া খেতে হবে। আর যে খেতে চাইবে না, তাকে চোর বলে ধরে নেবেন। ভয় পেয়ে চালপড়া খেয়েও নেয় জাকির খানের সহপাঠীরা। জানা গিয়েছে, চালপড়া খেয়েছিল পোহগ্রাম অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ জন। ঘণ্টা খানেক বাদে বমি করতে শুরু করে বেশ কয়েকজন। একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ে সকলেই। এদিকে ততক্ষণে বাড়ি চলে গিয়েছে অভিযুক্ত মারিয়ম বিবি। ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় স্কুলে। তড়িঘড়ি একটি গাড়িতে চাপিয়ে অসুস্থ পড়ুয়াদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন প্রধান শিক্ষক। খবর পেয়ে পোহগ্রাম অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মঙ্গলকোট থানার ওসি প্রসেনজিৎ দত্ত। ঘটনাস্থলে প্রতিনিধিকে পাঠান বিডিও। স্কুলের বাইরে ভিড় জমান অভিভাবকরাও। এদিকে সহপাঠীরা যখন পেটের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে, তখন স্কুল থেকে সোজা বাড়ি চলে যায় জাকির। ছেলের মুখ থেকে সবটা জানার পর পালিয়েছে অভিযুক্ত মারিয়ম বিবিও।
কিন্তু ক্লাস চলাকালীন স্কুলে ঢুকে কীভাবে পড়ুয়াদের চালপড়া খাইয়ে গেলেন মারিয়ম? পোহগ্রাম অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাফাই, স্কুলের জুতো বিলির অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাই ঘটনাটি সম্পর্ক কিছু জানেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.