Advertisement
Advertisement

বাবুলকে আসানসোলে ঢুকতে পুলিশের বাধা, পালটা পুলিশকর্তাকে হেনস্তার অভিযোগ

আইপিএস আধিকারিককে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বাবুলের বিরুদ্ধে।

Asansol: MoS Babul Supriyo ‘assaults’ IPS officer
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 29, 2018 3:51 pm
  • Updated:July 15, 2019 2:56 pm  

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: উত্তপ্ত আসানসোলে ঢুকতে গিয়ে বাধা পেলেন বিজেপি সাসংদ বাপুল সুপ্রিয়। সাংসদ হয়ে কেন তিনি এলাকায় ঢুকতে পারবেন না, প্রশ্ন তোলেন বাবুল। অন্যদিকে তাঁর পথ আটকান স্থানীয়রাই। এক সময় পুলিশের সঙ্গেও তাঁর বচসাও বাধে। সে সময়ই পুলিশকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বাবুলের বিরুদ্ধে।

[  জটিল অস্ত্রোপচারের পর আপাতত স্থিতিশীল আসানসোলের জখম ডিসি ]

Advertisement

রাম নবমীকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে রানিগঞ্জ, আসানসোল। এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় হিংসা ছড়াচ্ছে বলে বন্ধ নেট পরিষেবাও। এই পরিস্থিতিতে এলাকায় বাবুলের ঢোকার অনুমতি ছিল না। তা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করেন বাবুল। কল্যাণপুর এলাকায় স্থানীয়রা তাঁর পথ আটকান। বিক্ষুব্ধ জনতা জানান, কেন হিংসার পর বাবুল এসেছেন? এতক্ষণ তিনি কোথায় ছিলেন? চাঁদমারি এলাকায় ঢুকতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বাবুল। তিনি জানতে চান, সাংসদ হয়ে কেন তিনি নিজের এলাকায় ঢুকতে পারবেন না? কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী এই সময় কোনও নেতারই এলাকায় ঢোকার অনুমতি নেই। বাবুলের পালটা প্রশ্ন, এলাকায় অনেক তৃণমূল নেতা রয়েছেন কী করে? এই নিয়েই পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো বচসায় জড়িয়ে পড়েন সাংসদ। এরপর পুলিশি নিষেধ অগ্রাহ্য করেই তিনি ঢুকতে গেলে তাঁকে বাধা দেন কলকাতা ডিসি ইস্ট রূপেশ কুমার। সে সময় ওই অফিসারকে বাবুল ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ। আইপিএস হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে সাংসদের বিরুদ্ধে। এদিকে বাবুলের সমর্থনেও বেশ কিছু অনুগামী জমায়েত হন। দুই পক্ষে ব্যাপক বচসা বেধে যায়। শেষমেশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

[  অশান্ত রানিগঞ্জে যাচ্ছে কলকাতা পুলিশের বাহিনী, রাজ্যপালকে না যাওয়ার অনুরোধ নবান্নর ]

এদিকে থমথমে আসানসোলে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা লেগেই আছে। রেলপাড় এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা। চলছে পুলিশি টহল। এখনও পর্যন্ত ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে রেলপার এলাকাতেই একটি দর্জির দোকান ও সেলুনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া। শ্রীনগর, ওকে রোড, রামকৃষ্ণডাঙার মতো এলাকাগুলিও উপদ্রুত। এদিকে এর মধ্যেই চলছে পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের পুলিশই গাড়িতে করে পৌঁছে দিচ্ছে। নিরাপত্তা আঁটসাট করা হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের দাবি, এই পরিস্থিতিতে পড়াশোনা করা কীভাবে সম্ভব? দিনরাত বোমাবাজি হচ্ছে, এই আবহে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া যায় না। উত্তেজিত পরীক্ষার্থীদের শান্ত করেন আসানসোলের প্রাক্তন কমিশনার বর্তমানে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিনীত গোয়েল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement